পালসার মোটরসাইকেলসহ রনি ও মতিয়ার পাকড়াও : ফেনসিডিল উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযান : মামলাসহ দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার তানজির আহম্মেদ রনি ও জীবননগর রথিরামপুরের মতিয়ার রহমান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে শরীরে বেঁধে ফেনসিডিল নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে চুয়াডাঙ্গা অভিমুখে ছোটার সময় এদেরকে দামুড়হুদায় আটক করা হয়। পুলিশ এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, গ্রেফতারকৃত দুজনের নিকট থেকে ১৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।

তানজির আহম্মেদ রনির বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায়ও ফেনসিডিল সংক্রান্ত মামলা রয়েছে। গত ২ অক্টোবর বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জাফরপুর ব্র্যাক মোড়ের নিকট ফেনসিডিলসহ ধরা পড়ে মনিরুল ইসলাম মিনা। এই মিনা ওই ফেনসিডিল তানজির আহম্মেদ রনির বলে জানায়। ফলে মিনার সাথে রনির নামও আসামির তালিকায় ওঠে। সেই মামলার পর এবার হাতেনাতে ধরা পড়লো রনি। এদের নিকট থেকে রেজিস্ট্রেশনবিহীন একটি পালসার মোটরসাইকেলও উদ্ধার করা হয়েছে। গতরাতে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দুজনকে দামুড়হুদা থানায় মামলাসহ হস্তান্তর করে। আজ রোববার আদালতে সোপর্দ করা হতে পারে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা একাডেমী মোড়ের প্রান্ত স্যাট সিস্টেম নেটওয়ার্কের তথা ডিশ ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধিকারী তানজির আহম্মেদ রনি। সে চুয়াডাঙ্গা মসজিদপাড়ার মোতালেব মণ্ডলের ছেলে। পুলিশসূত্র বলেছে, তানজির আহম্মেদ রনি ও তার সহযোগী জীবননগর উপজেলার রথিরামপুরের নূর মোহাম্মদের ছেলে মতিয়ার রহমান একটি মোটরসাইকেলযোগে দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গামুখি ছুটছিলো। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের অদূরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে। দেহ তল্লাশি করে দুজনের নিকট থেকে ১৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এরপর এদেরকে নেয়া হয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ দফতরে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দামুড়হুদা থানায় হস্তান্তর করা হয়।