পাবনায় ব্রাশ ফায়ারে ৩ আ.লীগ কর্মী নিহত : আহত ২

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: পাবনা সদর উপজেলার পুষ্পপাড়া বাজারে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ৩ব্যক্তিকে গুলি করে ও কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় আরও দুজন আহতহয়েছেন।পাবনা-৫ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুকখন্দকারের দাবি অনুযায়ী হতাহতদের সবাই আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী।নিহত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার পিরপুর গ্রামের ফজলুর রহমান (৩৭), পুষ্পপাড়া গ্রামের আবদুস সালাম (৩৭) ও ধর্মগ্রামের সুলতান আহম্মেদ (৩৬)। আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা অতর্কিতে হামলা চালিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যক্তি ও পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ৮টার দিকে আবদুস সালামবাজারের একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনছিলেন। এর কিছুক্ষণ পর একটি মোটরসাইকেলেকরে ফজলুর রহমান ও সুলতান আহম্মেদ সেখানে আসেন। এ তিনজনসহ আওয়ামী লীগেরস্থানীয় কয়েকজন নেতা ওষুধের দোকানের সামনে গল্প করছিলেন। হঠাৎ করে একদলদুর্বৃত্ত তাঁদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। দুর্বৃত্তরা তাঁদের এলোপাতাড়িগুলি করে এবং কুপিয়ে পালিয়ে যায়। গুলিতে আবদুস সালাম, ফজলুর রহমান ও সুলতানআহম্মেদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় মামুন হোসেন (৩৫) ও রফিকুল ইসলাম (৩৬)আহত হন। তাঁদের বাড়ি উপজেলার ধর্মগ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন ওরফিকুলকে পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।পাবনার পুলিশ সুপার মিরাজ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘তিনজনকে খুনের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। ঘটনার কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পাবনা-৫ আসনের সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম ফারুক খন্দকার দাবি করেন, নিহতেরা সবাই আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন। কয়েক দিন পরপাবনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সফরের কথা রয়েছে। এ বিষয়েই তাঁরাআলোচনা করছিলেন। বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী বাহিনী তাঁদের ওপর অতর্কিতহামলা চালিয়ে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। অবিলম্বে হত্যাকারীদেরগ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।তবেআতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান বলেন, তারা আওয়ামী লীগের কেউ নয়।এলাকায় নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াত।

এলাকাবাসী জানায়, নিহত তিন সন্ত্রাসী প্রকাশ্যে এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে চলাফেরা করলেও তারা মূলত চরমপন্থি সংগঠনের আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তারা এলাকায় চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ, ছিনতাই রাহাজানির সাথে জড়িত ছিলো। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিলো।তবে ভয়ে কিছু বলতে পারত না, তিনজনকে হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পুষ্পপাড়া বাজারের সব দোকান-পাট বন্ধ হয়ে যায়। ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।