পাউয়ার টিলার কিনে দিতে না পারায় অমানুষিক নির্যাতন : শিশুসন্তান কোলে নিয়ে পথে পথে গহেরপুরের শিউলি

বেগমপুর প্রতিনিধি: স্বামী মনিরুলকে পাউয়ার টিলার কিনে দেয়ার কথা থাকলেও পিতার মৃত্যুতে তা কিনে দিতে পারেনি শিউলি। বিয়ের পর থেকেই অমানুষিক নির্যাতন চলতে থাকে শিউলির ওপর। নির্যাতন সইতে না পেরে শিশু সন্তানকে কোলে নিয়ে পথে পথে ঘুরছে চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ গহেরপুরের অসহায় শিউলি। আতত্মহত্যার পথ বেছে নিলেও শেষ পর্যন্ত শিশু সোহানের মুখপানে চেয়ে আশ্রয় নিয়েছে হতদরিদ্র মামার বাড়ি। স্বামী-সংসার নিয়ে বাঁচতে চায় শিউলি।

জানা গেছে, স্বামীর সংসার আর শ্বশুর-শাশুড়ি নিয়ে সংসার করার স্বপ্ন নিয়ে বছর দেড়েক আগে বিয়ের পিঁড়িতে বসে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে শিউলি। বিয়ের সময় জীবননগর উথলী গ্রামের শরিফুলের ছেলে মনিরুলের দাবি ছিলো পাউয়ার টিলার কিনে দিতে হবে। বিয়ের পর শিউলির পিতা মারা যাওয়ায় সে কথা রাখতে পারেননি শিউলির অসহায় মা। এ কারণে শিউলির ওপর নেমে আসে অমানুষিক নির্যাতন। দিন দিন নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে শিউলির ওপর। এরই মাঝে শিউলির কোল জুড়ে আসে ফুটফুটে ছেলে সোহান। সোহানের জন্মের পরও শিউলিকে শুনতে হয় নানা অপবাদ। হাজারো অপবাদ আর নির্যাতন সয়ে শিউলি পড়ে থাকে স্বামীর বাড়িতে। এনিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠক হলেও এতোটুকু মন গলেনি স্বামী মনিরুল ও তার পিতা-মাতার। শিউলি অভিযোগ করে বলেন, ‘গত সোমবার সেই একই দাবিতে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও মামাশ্বশুর খোয়াজ আমার ওপর চালায় নির্যাতন। আমি নির্যাতন সইতে না পেরে সিদ্ধান্ত নেই আত্মহত্যা করবো। কিন্তু কোলের শিশু সন্তান সোহানের মুখের দিকে চেয়ে ফিরে আসি সে পথ থেকে। আশ্রয় নেই শৈলমারী গ্রামে মামা শরিফের বাড়িতে।‌‌‌‌‌‌’ এ বিষয়ে শিউলির মামা শরিফ বলেন, আমার নিজেরই সংসার চলে দিন এনে দিন খেয়ে। তার ওপর ভাগনি ও তার ছেলের খরচ কীভাবে চলবে বুঝতে পারছি না। এ ব্যাপারে মনিরুলের পরিবারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টির প্রতি প্রশাসন ও মানবধিকার সংস্থার সাহায্য কামনা করেছেন শিউলি ও তার পরিবারের লোকজন।