পাঁচকমলাপুর-কান্তপুর সড়কের ঝড়ের মাঠে ছিনতাইকারীদের তাণ্ডব

মোমিনপুরের রিমনকে নয়, বোয়ালমারীর এক জামাইসহ দুজনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়

 

স্টাফ রিপোর্টার: মোমিনপুরের রিমনকে নয়, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বোয়ালমারীর দুজনকে। পাঁচকমলাপুর-কান্তপুর সড়কে গাছ ফেলে ছিনতাইয়ের সময় দুজনকে হাত-পা বেঁধে ফেলে রাখে ছিনতাইকারীরা। পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হলেও মাঝরাতে তথ্য সংগ্রহের সময় কয়েকজন ভুল তথ্য দেন।

গতকাল পত্রিকায় প্রকাশিত, মোমিনপুরের রিমনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার প্রতিবদেনটিতে তথ্যগত ত্রুটি ছিলো। এজন্য আমাদের মোমিনপুর প্রতিনিধি দুঃখ প্রকাশের পাশাপাশি মার্জনা চেয়ে জানিয়েছেন, প্রকৃত ঘটনা। চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের বহুল আলোচিত পাঁচকমলাপুর-কান্তপুর সড়কে আবারও ঘটেছে ছিনতাইয়ের ঘটনা। গতপরশু সন্ধ্যারাতে সড়কের ওপর গাছ ফেলে ছিনতাই করে একদল ছিনতাইকারী। তারা কলেজের এক প্রভাষকসহ দুজনকে হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে মাঠের ভেতর ফেলে রাখে। তাদের কাছ থেকে একটি মোটরসাইকেল, দুটি মোবাইলফোনসহ নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

জানা গেছে, পাঁচকমলাপুর গ্রামের মাহবুবুর রহমান মিল্টন মাস্টারের মা রাবেয়া বেগমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদে শরিক হন মিল্টন মাস্টারের আত্মীয় দামুড়হুদা ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক খাইরুল বাশার। তিনি তার এক আত্মীয় ফারুককে সাথে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে তার শ্বশুর চুয়াডাঙ্গার বোয়ালমারী গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের বাড়ি ফিরছিলেন। পাঁচকমলাপুর-কান্তপুর সড়কের মাঝামাঝি নির্জন জায়গা মাঝহাদ ঝড়ের মাঠের নিকট ১০-১২ জনের একদল ছিনতাইকারী সড়কের ওপর মেহগনি গাছ ফেলে গতিরোধ করে। ছিনতাইকারীরা ধারালো অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। ডিসকভারি মোটরসাইকেলসহ দুটি মোবাইলফোন, প্রভাষক খাইরুল বাশারের কাছ থেকে ৭শ টাকা এবং ফারুকের কাছ থেকে এক হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এরপর ছিনতাইকারীরা সড়ক থেকে প্রায় ৪শ গজ দূরে একটি আখক্ষেতের ভেতর দুজনকে হাত-পা, চোখ মুখ বেঁধে ফেলে রাখে। মিল্টন মাস্টার তার ভায়রা খাইরুল বাশার ভালোভাবে বোয়ালমারী পৌঁছেছেন কি-না মোবাইলফোনে খোঁজ নিতে গিয়ে চমকে ওঠেন। ফেরেননি শুনে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এক পর্যায়ে সড়কে গাছ ফেলা দেখে সন্দেহের মাত্রা বাড়তে থাকে। পাঁচকমলাপুর গ্রামের জনগণ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন মাঠে তল্লাশি করার এক পর্যায়ে আখক্ষেতের ভেতর দুজনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, প্রায় দু ঘণ্টা পর রাত পৌনে ১০টার দিকে দুজনকে মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাঁচকমলাপুর পুলিশ ফাঁড়ির গাফিলতির কারণে একই স্থানে বারবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এর আগে একই স্থানে আলমসাধুর গতিরোধ করে ১০ জনের কাছ থেকে ১০টি মোবাইলফোনসহ নগদ টাকা ছিনতাই করা হয়।

এ সংবাদ গতপরশু মাঝরাতে সংগ্রহ করতে গিয়ে মোমিনপুরের মৃত আছির উদ্দীন মাস্টারের ছেলে রিমনকে উদ্ধার সংক্রান্ত ভুল তথ্য পাওয়া যায়। ভুল তথ্যে সংবাদ প্রেরণের কারণে মোমিনপুর প্রতিনিধি ও একজন স্টাফ রিপোর্টারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরা দুঃখ প্রকাশ করে পাঠকদের নিকট মার্জনা আশা করেছেন।