পশ্চিমবঙ্গের আবাসিক হোম থেকে বাংলাদেশি মহিলাদের পলায়ন

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার লিলুয়ার সরকারি হোম থেকেএকসাথে অনেক বাংলাদেশি মহিলার পলায়নে জোর আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এই সরকারিহোমে সাধারণত অবৈধ অভিবাসী হিসেবে ধৃত বিচারাধীন বাংলাদেশি মহিলাদের রাখাহয়। সাথে রাখা হয় অন্যদেরও। তবে এই হোমের বিরুদ্ধে অভিযোগ এখানকারআবাসিকদের ঠিকমতো খাবার দেয়া হয় না। দীর্ঘদিন ধরেই এই মহিলাদের ওপরনানাভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত বলে বারে বারে অভিযোগ উঠেছে। হোমেরপুরুষ কর্মীরা যৌন হেনস্থার চেষ্টা করতেন বলে অভিযোগ করেছেন হোমের মহিলাআবাসিকরা।

পুলিশও জানিয়েছে, এক মহিলা আবাসিকের ওপর শারীরিক নির্যাতনচালানোর অভিযোগে গত মাসে শঙ্কর কুমার নামে ওই হোমেরই এক কর্মীকে প্রেফতারকরা হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার লিলুয়ার সরকারি হোম থেকে পালানোরচেষ্টা করেন ৪০-৪৫ জন মহিলা আবাসিক। এদের মধ্যে বেশ কয়েক জনকে উদ্ধারকরেছে পুলিশ। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। গত ২১ জুলাই এই হোমথেকেই পালানোর চেষ্টা করেছিলো ২৫ জন বাংলাদেশি মহিলা। তাদের মধ্যে ২৩ জনকেউদ্ধার করা গেলেও দুজনকে এখনও পাওয়া যায়নি। তবে শুক্রবারের ঘটনা সম্পর্কেজানা গেছে, এদিন সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ হোমের গেট ভেঙে বেরিয়ে যান কয়েক জনমহিলা আবাসিক। হোম থেকে বেরিয়ে পেছনের একটি বন্ধ কারখানার মধ্যে ঢুকে পড়েতারা। মহিলাদের বেরিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশে খবর দেন হোম কর্তৃপক্ষ।সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই কারখানাটি ঘিরে ফেলে পুলিশ। এরই মধ্যেকারখানা থেকে বেরিয়ে পালানোরও চেষ্টা করেন অনেকে। পুলিশের এক অধিকারীজানিয়েছেন, মোট কতো জন হোম থেকে বেরিয়েছিলো এবং সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভবহয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।

রাজ্যের মহিলা ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, পুরো ঘটনাটা জানতে পেরেছি। আমি নারী ও সমাজকল্যাণদফতরের কর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। পুরো ঘটনার তদন্ত হবে। মহিলারা কেনহোমে থাকতে চাইছেন না তা খতিয়ে দেখা হবে।