পরিমার্জন করা হলো মাধ্যমিকের ১২টি বই

স্টাফ রিপোর্টার: নবম-দশম শ্রেণির পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, গণিত, উচ্চতর গণিত, জীববিজ্ঞান ও সাধারণ বিজ্ঞানসহ ১২টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করা হয়েছে। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন টিমের সদস্যরা গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের কাছে পরিমার্জিত ৬টি বইয়ের কপি হস্তান্তর করেন। পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জন কমিটির সদস্য ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদসহ টিমের অন্য সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নবম ও দশম শ্রেণির পরিমার্জিত পাঠ্যবইগুলো শিক্ষার্থীদের কাছে অনেক আকর্ষণীয় ও সহজপাঠ্য হবে। বইয়ের মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তিনি বলেন, পরিমার্জিত বইগুলো আগামী বছর শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব। পর্যায়ক্রমে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অন্যান্য বইয়ের মানও বাড়ানো হবে।

অনুষ্ঠানে জাফর ইকবাল বলেন, আমি সাহস করে ছয়টি বই পরিমার্জনের দায়িত্ব নিয়েছিলাম। পেইজ মেকিং বা অন্য কোনো কাজ করতে হবে না। এটা আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল। অধ্যাপক কায়কোবাদ বলেন, শিক্ষার মান উন্নত করতে চাইলে খুব ভালো মানের পাঠ্যপুস্তক করতে হবে। ভালো মানের পাঠ্যপুস্তক প্রণীত হলে অবশ্যই শিক্ষার মান ভালো হবে। এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেয়ার পক্ষে সচিব অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী প্রশ্ন (এমসিকিউ) উঠিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব  সোহরাব হোসাইন বলেন, আমার ব্যক্তিগত অভিমত এমসিকিউ বোধহয় পরিপূর্ণভাবে উঠিয়ে দেয়া উচিত। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে সমালোচনার জবাবে শিক্ষা সচিব বলেন, শিক্ষকরাই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকেন। পরীক্ষার হলে তাত্ক্ষণিকভাবে প্রশ্নপত্র ছাপিয়ে পরীক্ষা নেয়া যায় কি-না সে বিষয়ে ভাবা হচ্ছে।

এবার থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় এমসিকিউ অংশ থেকে ১০ নম্বর কমিয়ে তা সৃজনশীল অংশে যোগ করা হয়েছে। ফাঁস ঠেকাতে পরীক্ষা শুরুর পর প্রথমেই নেয়া হচ্ছে এমসিকিউ অংশের পরীক্ষা। সোহরাব হোসাইন জানান, শিক্ষা আইনের খসড়া শিগগিরই মন্ত্রিসভায় তোলা হচ্ছে। প্রায় ছয় বছর ধরে শিক্ষা আইন প্রণয়নের কাজ চলছে। বেশ কঠিন কিছু বিষয় আছে, যেটা অনেক প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হতে পারে। সেজন্য আমরা সকল মহলের মতামত, সকলের সমর্থন, সব কিছু নেওয়ার চেষ্টা করেছি।