পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন

স্টাফ রিপোর্টার: যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ত্যাগের মহিমাদীপ্ত উত্সবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরসহ সারাদেশে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল আজহা। প্রতিটি ঈদগায় নামাজ শেষে দেশের শান্তি, উন্নয়ন, জনগণের কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। নামাজ শেষে পশু কোরবানির মাধ্যমে প্রধান ধর্মীয় উত্সব ঈদুল আজহা উদযাপন করা হয়।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সর্বস্তরের জনগণের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আর বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বঙ্গবন্ধু সম্মেলন কেন্দ্রে সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জাতীয় সংসদের হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ঈদগা ময়দানে নামাজ আদায় শেষে কবরী রোডস্থ নিজ বাড়িতে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য তার নিজ গ্রাম রঘুনাথপুর ঈদগা ময়দানে নামাজা আদায়ের পর কোরবনী করার পাশাপাশি তিন নিজ এরাকার দলীয় নেতা কর্মী ও সাধারণ মানুষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক দেলোয়ার হোসানইন টেনিস মাঠে নামাজ আদায়ের পর নিজ বাসভবন প্রাঙ্গনে কোরবানি দেয়ার পাশাপাশি তিনি সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পুলিশ সুপর রাশীদুল হাসান পুলিশ লাইন ময়দানে নামাজ আদায়ের পর নিজ বাসায় কোরবানি করেন। চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন স্থানীয় জাতীয় ঈদগা ময়দানে নামাজ আদায় শেষে নিজ বাড়িতে কোরবানি কেরার পাশাপাশি তিনি সকলের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ঈদের সকালে ঈদগায় জামাতে দু রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায়ের জন্য মুসল্লিরা স্থানীয় ঈদগা বা মসজিদে সমবেত হন। ধনী-গরিবের ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে দাঁড়িয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে নিজের পাপমোচন এবং পরিবার-পরিজন, দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া চেয়ে আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করেন। নামাজ শেষে অনেকেই যান কবরস্থানে স্বজনের কবর জিয়ারত করতে। অশ্রুসিক্ত হয়ে চিরকালের জন্য চলে যাওয়া স্বজনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আল্লাহর দরবারে করজোড়ে মোনাজাত করেন তারা। এরপর হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর মহান আত্মত্যাগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের ভেতরের পশুত্বকে পরিহার ও আল্লাহর অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করেন তারা।