পদ্মানদীতে নিখোঁজের ৪দিন পর রাজশাহী শহরের ওপারে ভেসে উঠলো কলেজছাত্র মৃন্ময়ের লাশ

ময়নাতদন্ত শেষে দামুড়হুদায় বেদনা বিধুর পরিবেশে দাফন সম্পন্ন

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: রাজশাহীর পদ্মা নদীতে নিখোঁজ কলেজছাত্র মৃন্ময় ফিরেছে আপন ঠিকানায়। তবে জীবিত না, ফিরেছে লাশ হয়ে। পদ্মানদীতে ডুবে নিখোঁজের ৪দিন পর গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় রাজশাহী শহরের ওপারে ভারত সীমান্তবর্তী চরখিদিরপুর এলাকায় তার লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তার লাশ উদ্ধার করেন। পরে ওখানেই লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। রাত সাড়ে ১২টার দিকে দামুড়হুদা পাইলট হাইস্কুল মাঠে জানাজার নামাজ শেষে দশমী কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়। দামুড়হুদা দশমীপাড়ার মহাসিন আলীর ছেলে মৃন্ময় ছিলো দুভাই ও দু বোনের মধ্যে সকলের ছোট।
উল্লেখ্য, রাজশাহী মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র আসিফ আল মাসুদ মৃন্ময়সহ ৬ শিক্ষার্থী গত রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পদ্মানদীতে বেড়াতে যায়। এদের মধ্যে তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী ছিলো। তারা একটি নৌকা ভাড়া নিয়ে রাজশাহীর পদ্মানদীর লালন মঞ্চের অদূরে চরশ্রীরামপুর মধ্যচর এলাকায় ঘুরছিলো। এরই এক পর্যায়ে সে নৌকা থেকে পড়ে পানিতে ডুবে যায়।
রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ওইদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অনুসন্ধান চালালেও তার সন্ধান মেলেনি। পরদিন সোমবার সকাল থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুনরায় উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়। কিন্ত কোনো সন্ধান না পেয়ে ওইদিনের মতো উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয় এবং পরদিন মঙ্গলবার আবারও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। ৩দিন উদ্ধার অভিযান পরিচালনার পর তার কোনো সন্ধান না পেয়ে সন্ধ্যায় উদ্ধার অভিযান কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন। নিহত মৃন্ময়ের মামা আব্দুল মালেক বলেছেন, ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দুরে তার লাশ ভেসে ওঠে। দুই একদিনের মধ্যেই হত্যা মামলা দায়ের করা হবে বলেও জানান তিনি। রাজশাহী মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহাদত হোসেন বলেন, রাজশাহী পদ্মানদীর লালন মঞ্চের দক্ষিণে চরশ্রীরামপুর এলাকায় মাঝনদীতে সেলফি তুলতে গিয়ে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে সে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন বিকেলে মৃন্ময়ের সাথে থাকা সহপাঠীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নৌকার মাঝিসহ মোট ৬জনের নামে জিডি করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত মামলা করা হয়নি।