পক্ষে খবর প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতাতে গিয়ে হাসপাতাল এলাকায় জনরোষে রহিম : পুলিশে হস্তান্তর

 

স্টাফ রিপোর্টার: পিটুনির শিকার বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরীর পক্ষে সংবাদ পরিবেশনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা দাবি করে আব্দুর রহিম নামের এক ব্যক্তি ধরা পড়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল চত্বর থেকে তাকে ধরে পুলিশে দেয়া হয়। সে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর বাসস্ট্যান্ড পাড়ার হাকিম আব্দুর রউফের ছেলে বলে জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আলমডাঙ্গা উপজেলার নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সাহেদ আলী মন্টু তিনি তার গ্রামেই পিটুনির শিকার হন। চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে আসেন। এ সময় তার পিছু নেয় আব্দুর রহিম। তিনি নিজেকে স্থানীয় একটি পত্রিকার সাংবাদিক বলে পরিচয় দিয়ে টাকা দাবি করেন। সাহেদ আলীর পক্ষে সংবাদপত্রে খবর প্রকাশের প্রতিশ্রুতিও দেয়। সাহেদ আলী মন্টু তাকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরের একটি দোকানের সামনে বসিয়ে আপ্যায়নও করেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়ে যে, ওই রহিম যে পত্রিকার সাংবাদিক বলে পরিচয় দিচ্ছে সেই পত্রিকা প্রকাশই হয় না। আর নতুন করে যে পত্রিকার সাংবাদিক হয়েছে বলে তার দাবি, সে পত্রিকারও পরিচয়পত্র তার কাছে নেই। এরই এক পর্যাযে আব্দুর রহিম আপত্তিকর উক্তি আওড়াতে শুরু করে। স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। সদর থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে আটক করে থানায় নেন।

নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী সাহেদ আলীকে কেন পিটুনি দেয়া হয়েছে? সাহেদ আলী বলেছেন, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলে মারধর করা হয়েছে। অপরদিকে আমাদের ঘোলদাঁড়ি প্রতিনিধি স্থানীয়সূত্রের বরাদ দিয়ে বলেছেন, ওই নৈশ প্রহরী বিদ্যালয়েরই এক শিক্ষিকাকে কুপ্রস্তাব দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তাকে মারধর করা হয়।