নয় বাংলাদেশিকে ফেরত দেয়নি বিএসএফ

দর্শনা জয়নগর সীমান্ত দীর্ঘক্ষ অপেক্ষা : হতাশ হয়ে ফিরলো বিজিবি-পুলিশ

হারুন রাজু: অবৈধ অনুপ্রবেশের অপরাধে ভারতের জেলহাজতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষ করেছে নয় বাংলাদেশি নাগরিক। ১২ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হলেও নানা অজুহাতে সময় পিছিয়ে নিচ্ছে বিএসএফ। দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ কয়েক দফা বৈঠকের পর গত কয়েকদিন আগে ১২ জনের মধ্যে তিন বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে। এরই মধ্যে বাকি নয়জনকে ফেরত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। বিএসএফ দেয়া নির্ধারিত সময়ে বৈঠকের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর অবেশেষে বৈঠকে আসেনি বিএসএফ। ফেরত দেয়নি নয় বাংলাদেশি নাগরিককে।

জানা গেছে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে দর্শনা জয়নগর সীমান্তের ৭৫ নং মেন পিলারের কাছে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকে নয় বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দেয়ার সময় নির্ধারণ ছিলো। বিজিবির দর্শনা কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার খোরশেদ আলম খান সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে সীমান্তে পৌঁছান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এএসপি (প্রবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ আহসান হাবীব, ইমিগ্রেশন ইনচার্জ এসআই মাহবুবুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্স। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে বিজিবি ও পুলিশ। সকালেই বিজির পক্ষ থেকে ভারতের গেদে বিএসএফকে মোবাইলফোনে জানতে চাইলে তারা জানায়, নয় বাংলাদেশি নাগরিককে কোলকাতা জেলহাজত থেকে দর্শনা গেদে সীমান্তের উদ্দেশে রওনা হয়েছে ভারতীয় পুলিশ। দুপুর ১টার দিকে কমলা রঙের পতাকা হাতে সঙ্গীয় সদস্যদের সাথে নিয়ে জয়নগর সীমান্তে আসেন গেদে বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার রমেশ চাঁদ। নির্ধারিত সময়ের অনেক পরে বিএসএফ বৈঠক স্থানে উপস্থিত হলে কোনো বাংলাদেশি নাগরিক ছিলো না। বিএসএফ’র এহেন কাণ্ডের কড়া প্রতিবাদ জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে। বিএসএফ’র পক্ষ থেকে জানানো হয় ভারতীয় কারা কর্মকর্তাদের গাফিলতির কারণে নয় বাংলাদেশিকে এখন ফেরত দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। কবে নাগাদ ফেরত দেয়া হবে নয় বাংলাদেশিকে তা স্পস্টভাবে বলতে পারেনি বিএসএফ। তবে পরবর্তী সময় পত্রের মাধ্যমে বিজিবিকে জানানো হবে বলেই জানিয়েছেন বিএসএফ’র পক্ষ থেকে। আপন ঠিকানায় পৌঁছানোর অপেক্ষার নয় বাংলাদেশি নাগরিক হচ্ছেন- গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি থানার তিলসারা খাগড়াবাড়ি গ্রামের মৃত আউয়ুব আলীর ছেলে হানিফ শিকদার ও রকিবুল শিকদার, মুকসুদপুর থানার তারাইল গ্রামের অমিয় বিশ্বাসের ছেলে রনজিৎ বিশ্বাস, নড়াইলের লোহাগড়া থানার মাচিরপাশা গ্রামের মৃত রওশন আলীর ছেলে রহিম উদ্দীন আজমির, কালিয়া থানার লালমায়া গ্রামের মৃত বিনোদ বিহারীর ছেলে বিবেক ভট্টাচার্য, কুষ্টিয়া সদর থানার মারাগাছা গ্রামের আব্দুল জলিল বিশ্বাসের ছেলে সেলিম বিশ্বাস, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানার কামালপুর মধ্যমপাড়া গ্রামের সৈয়দ লাল আলীর ছেলে জামাল হোসেন ওরফে তোহার আলী, ঝিনাইদহের মহেশপুর থানার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের মুসা বিশ্বাসের ছেলে আদিল বিশ্বাস ও রায়পুর গ্রামের মৃত লুৎফর আলী মণ্ডলের ছেলে হাতিম আলী মণ্ডল।