নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আলমসাধু উল্টে নিহত ১ : আহত ৩

মেহেরপুর আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময় নতুন বাসটার্মিনালে দুর্ঘটনা

মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক নতুন বাস টার্মিনালের কাছে সড়ক দুর্ঘটনায় জাকিরুল ইসলাম (৪২) নামে একজন মারা গেছেন। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন মৌসুমী খাতুন (৩২) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ও পিতা বাহার আলী (৬৩)। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে একটি শ্যালোইঞ্জিনচালিত আলমসাধু নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহত দু জনেরই বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলী গ্রামে। নিহত জাকিরুল আশকান মালিথার ছেলে। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় বিরোধী দলের হরতাল অবরোধ চলাকালীন সময়ে নাশকতা মামলার আসামি ছিলেন। সেই মামলায় হাজিরা দিতে তিনি বাড়ি থেকে আদালতের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন। আহত গৃহবধূ মোসুমী খাতুন হিজুলী গ্রামের সবুর আলীর স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় হিজুলী থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে মেহেরপুর শহরের দিকে যাওয়ার সময় নতুন বাসটার্মিনালের নিকট আলমসাধুর এক্সিলেটর কেটে যায়। এ সময় আলগামনের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে। এতে জাকিরুল ইসলাম ও মৌসুমী খাতুন ও মৌসুমি খাতুনের পিতা বাহার আলী রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. দেলোয়ার হোসেন জাকিরুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

সদর থানার ওসি রবিউল ইসলাম জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এর আগে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে তার স্বজনরা তাকে গ্রামের বাসায় নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, পরিবারের কোনো অভিযোগ থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে মেহেরপুর শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আলিফ (৪) নামে এক শিশু গুরুতর আহত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে শিশুটি তার মায়ের সাথে বাড়ি ফেরার পথে টিএনটি অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে একটি মোটরসাইকেল এসে ধাক্কা মারলে শিশুটি রাস্তার ওপর পড়ে যায়। মোটরসাইকেল আরোহী পালিয়ে যায়। আলিফ ধলা গ্রামের রকিবুলে ছেলে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।