নিজ কার্যালয় চত্বরে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযানের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক

স্টাফ রিপোর্টার: দুপুর ১২টা। মুখে মাক্স গ্লাভস, হাতে ঝাড়– নিয়ে করছেন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ। দেখে মনে হবে কোনো পরিচ্ছন্নকর্মী। না, তাঁরা কোনো সাধারণ পরিচ্ছন্নতাকর্মী নন। একজন জেলা প্রশাসক, অন্যজন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)।
সদর হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও মহাসড়কের দু’পাশের ঝোঁপ-ঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নের পর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এভাবেই ঝাড়– হাতে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা কালেক্টরেট চত্বর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ উদ্যোগের অগ্রভাগে থেকে সকলকে উৎসাহ জোগান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। এতে অংশ নেয় জেলা প্রশাসক কার্যালয়, জেলা পরিষদ, রোভার স্কাউটসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত কয়েকটি টিম। উৎসবমুখর পরিবেশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করেছেন সবাই। ঘণ্টাব্যাপী তাদের স্বেচ্ছাশ্রমে অনেকটাই পাল্টে গেছে পুরো কালেক্টরেট চত্বরের পরিবেশ। এ সময় জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খোন্দকার ফরহাদ আহমদ, সহকারী কমিশনার পাপিয়া আক্তার, ফখরুল ইসলামসহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম তদারকি করেন। মাসে অন্তত একবার ওই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনসূত্র। জেলা প্রশাসনের এমন উদ্যোগ প্রশংসিত হয়েছে সচেতনমহলে। জেলা প্রশাসনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম দেখে অনেকেই মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ যোগদানের পর জেলায় একের পর এক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বিশেষ করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আগের চিত্র আর এখনকার চিত্র ভিন্ন। ডাকাতি, ছিনতাইয়ের মতো অপরাধমূলক কর্মকা- প্রশমনে মহাসড়কের চারপাশের ঝোঁপ-ঝাড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম প্রশংসার দাবিদার। শিক্ষার মানোন্নয়নে তাঁর নিরলস পরিশ্রম স্বার্থক হলে দুশ্চিন্তামুক্ত হবেন অভিভাবকরা। এছাড়া সম্প্রতি জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট জেলার ফুটবলপ্রেমীদের বুকে ফিরিয়ে দিয়েছে প্রাণ। আর সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার এমন উদ্যোগ চিরদিন অনুকরণীয় হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন জেলাবাসী।