নারী সমাজের প্রকৃৃত মুক্তি আনার লক্ষ্যে আজীবন লড়াই করেছেন বেগম রোকেয়া

আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত : জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল শনিবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ সারাদেশে র‌্যালি মানববন্ধন ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অবদান রাখায় নারীদের জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। আলোচনাসভায় বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া আমাদেরকে শিখিয়ে গেছেন নারী হয়েও কীভাবে সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রাখতে হয়। বর্তমান সরকার নারী বান্ধব সরকার। এ সরকারের আমলে নারী নির্যাতন, শিশু বিবাহ অনেকাংশে কমে গেছে। আমরা সবসময় নারী উন্নয়ন কাজ করে থাকি। এ সরকারের আমলেই নারীদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। বক্তারা বলেন, নারী সমাজের প্রকৃৃত মুক্তি আনার লক্ষ্যে আজীবন লড়াই করেছেন বেগম রোকেয়া। নারী শিক্ষা বিস্তারের জন্য অপরিমেয় লাঞ্ছনা, গঞ্জনা, অপমান মুখ বুঝে সহ্য করার বিরামহীন সংগ্রামের পথে তিনি নারী মুক্তির যে সূচনা করেছিলেন আজ নারী মুক্তি আন্দোলনে তা পাথেয় আলোকবর্তীকা। বতর্মানে নারী সমাজের ওপর অর্থনৈতিক শোষণ বৈষম্য যেমন রয়েছে, তার ওপর নির্যাতনও চলছে অহরহ। হত্যা, ধর্ষণ ও ইভটিজিংসহ নানা অত্যাচারে এখনও নারী জর্জরিত। এ অবস্থার অবসানে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তাতারা।
চুয়াডাঙ্গায় জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিফতরে আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরীতে অবদান রাখায় নারীদের জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আব্দুল আওয়াল। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জিয়াউদ্দীন আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল মোমেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জসিম উদ্দীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার ফরহাদ হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াশীমুল বারী, সাবেক অধ্যক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, এসএম ই¯্রাফিল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা পর্যায়ে ৫ নারীকে জয়িতা ও উপজেলা পর্যায়ে ১৪ নারীকে সম্মননা কেস্ট এবং সনদপত্র দেয়া হয়। জয়িতারা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি গ্রামের আব্দুল মালেকের স্ত্রী নজিরণ খাতুন, সফল জননী নারী আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার থানাপাড়ার ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী মাজেদা খাতুন, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী আলমডাঙ্গা উপজেলার ফরিদপুর গ্রামের ইজাজুল হকের মেয়ে পারুলা খাতুন, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সবুজপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার কাকলী ও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন। উপজেলা পর্যায়ে জয়িতাদের মধ্যে রয়েছেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী চুয়াডাঙ্গার সামসুলের স্ত্রী কোহিনুর বেগম, জীবননগর পৌর এলাকার দৌলৎগঞ্জের নাজমুল হুদা দিপুর স্ত্রী নাজরীন খাতুন, দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামকুড় গ্রামের আব্দুল কাদেরের স্ত্রী রেখা খাতুন। সফল জননী মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ যুগিরহুদার গ্রামের আতর আলী বিশ্বাসের স্ত্রী সখিনা খাতুন, জীবননগর খয়েরহুদা গ্রামের মৃত মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মাহফুজা খাতুন ও দামুড়হুদার কলাবাড়ি গ্রামের মৃত রমজান আলীর স্ত্রী রাবেয়া খাতুন। শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারীর মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গার দীননাথপুরে আবু তালেবের মেয়ে ময়না খাতুন ও জীবননগর সেনেরহুদার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে নাহার বানু। সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সবুজপাড়ার নুরুল ইসলামের মেয়ে নুরুন্নাহার কাকলী, জীবননগর কন্দর্পপুর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের স্ত্রী শাহানারা খাতুন ও দামুড়হুদার লোকনাথপুর গ্রামের ফজলুল বারীর স্ত্রী সালেহা বেগম। নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেছেন চুয়াডাঙ্গা হায়দারপুর গ্রামের মানজারুল হকের স্ত্রী চায়না খাতুন, জীবননগর গয়েশপুর গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন ও দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের প্রোগ্রাম অফিসার উম্মে সালমার উপস্থাপনায় জয়িতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নুরুন্নাহার কাকলী, মাজেদা খাতুন ও পারুলা খাতুন।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা, জয়িতাদের সংবর্ধনা ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আব্দুল গফুর, ইউপি সদস্য নিজাম উদ্দীন প্রমুখ। আলোচনাসভা শেষে সাবেক ইউপি সদস্য লোকনাথপুর গ্রামের ছালেহা খাতুন, কলাবাড়ী গ্রামের রাবেয়া খাতুন, দর্শনার রেখা খাতুন ও ছয়ঘরিয়া গ্রামের মুসলিমা খাতুন এ ৪ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে হাউলী, কার্পাসডাঙ্গা ও নাটুদাহ এ তিন ইউনিয়নের মোট ৩৯জন প্রশিক্ষিত নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, নারী মুক্তির অগ্রদূত মহীয়সী নারী বেগম রোকেয়া দিবস জীবননগরে পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও এ উপজেলার ৫ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সেলিম রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু মো. আব্দুল লতিফ অমল। উপজেলা মহিলা বিষয় অধিদফতরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজি হাফিজুর রহমান, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকি ও উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমান। প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমআর বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্তকর্তা রোম্মানা বিলকিছ। আলোচনাসভা শেষে এবছর নির্বাচিত এ উপজেলার ৫ জয়িতার হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র তুলে দেয়া হয়।
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অবদান রাখায় নারীদের জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ উপলক্ষে আলোচনাসভা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আছাদুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনাসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার রহমান। জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসন, উই ও এইড ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাম্মী ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজ সেবীকা জাতীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত খালেদা খানম। আলোচনা অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের প্রোগ্রাম অফিসার (অতি. দা.) খন্দকার শরিফা আক্তার। সার্বিকভাবে সহযোগিতা করেন ক্রেডিট সুপারভাইজার তাসলিমা বেগম, এসএম সোহেল রানা রোকেয়া খাতুন, শিললুর রহমান, ইব্রাহিম, রোকেয়া খাতুন, ফৌজিয়া হক জুই প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানে নাসরিন সুলতানা, উই নির্বাহী পরিচালক শরিফা খাতুন, লাবন্য নির্বাহী পরিচালক রাবেয়া খাতুন সেচ্ছসেবী নারী, জয়িতাসহ বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধিসহ ৫শতাধিক নারী উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা শেষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অবদান রাখায় প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক জাকির হোসেনসহ অতিথিবৃন্দ উপজেলা পর্যায়ের ৫জন ও জেলা পর্যায়ের ৫জন মোট ১০জন নারীকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়। উপজেলা পর্যায়ে ৫জন নারী অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ফারজানা ববি বিশ্বাস, শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী জেসমিন খাতুন, সফল জননী জহুরা খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেন যে নারী ফারজানা আক্তার শ্যামা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী রেশমা বেগম এবং জেলা পর্যায়ে ৫জন নারী অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী ফারজানা ববি বিশ্বাস, শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শাহিদা সুলতানা, সফল জননী আছিয়া খাতুন, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যোমে জীবন শুরু করেন যে নারী রুবিনা খাতুন, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী মর্জিনা বেগমকে জয়িতা সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের উদ্যোগে গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠান মালার মধ্যে ছিলো র‌্যালি, আলোচনা সভা ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান। সফল জননী ক্যাটাগরিতে জয়িতা সম্মাননা লাভ করেন আনজান আরা বেগম। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজ।
মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার সকালে ঝিনাইদহের মহেশপুরে বেগম রোকেয়া দিবস-২০১৭ উপলক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সম্মেলন কক্ষে নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ডেপুটি গভর্ণরের মাতা আছিয়া খাতুনকে সফল জননী হিসেবে নির্বাচিত ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ক্রেস্ট প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সাংসদ মো. নবী নেওয়াজ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোজিনা আক্তার, মহেশপুর সরকারি ডিগ্রি কলেজের উপধাক্ষ্য নির্বাণ চক্র ম-ল, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এটিএম খাইরুল আনাম প্রমুখ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকৌশলী সেলিম চৌধুরী, কৃষি কর্মকর্তা আবু তালহা, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমান, মহেশপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি আব্দুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সেলিম। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর এসএম মনিরুজ্জামানের মাতা আছিয়া খাতুনকে সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত করা হয়। তাকে ঝিনাইদহ জেলাতেও শ্রেষ্ঠ সফল জননী জয়িতা নারী হিসেবে নির্বাচিত করা হয় এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। আছিয়া খাতুন ১৯৫০ সালে কালীগঞ্জ উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনাসভা ও ছাত্রীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজের উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ২টায় প্রতিষ্ঠানের হলরুমে আলোচনাসভা শুরু হয়। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শামীম আরা হীরার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষক ফিরোজ আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আখতারুজ্জামান, সহকারী শিক্ষক মোখলেছুর রহমান।
এর আগে প্রধান অতিথি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন এমপি মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও বিএম কলেজে পৌঁছুলে প্রতিষ্ঠানের গার্লস গাইডস ও গার্লস ইন স্কাউটদল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করেন ও প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে প্রধান অতিথি বিদ্যালয়ের ৬ কৃতি ছাত্রীর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এদিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা অধিদফতরের আয়োজনে র‌্যালি, আলোচনাসভা ও জয়িতাদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে বেগম রোকেয়া দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা এসএম শফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোমানা আহামেদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান শামীম আরা হীরা, মেহেরপুর জেলা ব্র্যাক প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন প্রমুখ। এ সময় জেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় জেলা পর্যায়ে ৫জন ও সদর উপজেলা পর্যায়ে ৫ জয়িতাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এর আগে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। জেলা পর্যায়ে সম্মাননা প্রাপ্তরা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জন করায় মুজিবনগর উপজেলা পুরন্দপুর গ্রামের মৃত আক্তার আলীর মেয়ে মলিনা খাতুন, শিক্ষা ও চাকরী ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করায় সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের কাদের মোল্লার মেয়ে আনজুমান আরাকে, সফল জননী হিসেবে শহরের মল্লিকপাড়ার মৃত শের আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগমকে, নির্যাতনের বিভীষিকা পিছনে ফেলে নতুনভাবে জীবন শুরু করায় গাংনী উপজেলার শাহারবাটি গ্রামের আজগর আলীর স্ত্রী নুর জাহান খাতুনকে এবং সমাজ উন্নয়নে অবদান রাখায় সদর উপজেলার আফসার আলীর মেয়ে আসমান তারা মিছরিকে জয়িতা হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।