নানার বিয়ে খেতে এসে নাতিসহ ৬ জন আটক

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার মোক্তারপুরে বিয়ে করতে এসে খাওয়া-দাওয়া শেষে বরসহ বরযাত্রীরা সটকে পড়ার পর নানার বিয়ে খেতে আসা শিশু নাতিসহ ৬ জনকে আটকে রাখার পর স্থানীয় লোকজন মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে মেয়ে ও মেয়ের পিতাকে মারধর করে তাদেরকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কনের পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার জাহাজপোতা গ্রামের ৫ সন্তানের জনক সোহরাব উদ্দীনের (৫৫) একই উপজেলার মোক্তারপুর গ্রামের মোজাম্মেল হক ওরফে মোজামের মেয়ে সেই আলোচিত ডলির (৩৫) সাথে গতকাল মঙ্গলবার বিয়ের দিন ধার্য ছিলো। ধার্য দিনে বর সোহরাব তার নাতিসহ ৩০ জন বরযাত্রীকে সাথে নিয়ে গতকাল দুপুরে মোক্তারপুরে বিয়ে করতে যায়। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া শেষে বিয়ে পড়ানোর আগে বরসহ বেশ কয়েকজন বরযাত্রী বাড়ির বাইরে আসে পান-সিগারেট খাওয়ার জন্য। ওই সময় মোক্তারপুরের আয়ুবের ছেলে কালু বরকে উদ্দেশ্য করে বলে বুড়োর মরণ নেই? কার সাথে বিয়ে করতে এসেছে জানে। ও সেই আলোচিত ডলি। এ সময় বরযাত্রীরা তাকে বলে কী হয়েছে ভাই? এ কথার উত্তরে কারু বলে এখনও কিছু হয়নি। হবে বিয়ের পর। বুঝতে পারবে ওকি জিনিস। কেন? আপনারা জানেন না মেয়ের স্বভাব-চরিত্র ভালো না। এ কথা শুনার পরপরই বর বিয়ে না করেই কৌশলে সটকে পড়ে। এরপর ঘটক গরু ব্যবসায়ী মিলুসহ বেশকিছু বরযাত্রী বিয়ের শাড়ি-কাপড় ও গয়না নিয়ে সটকে পড়ে। কালুর কথায় ভেস্তে যায় বিয়ে। এরই একপর্যায়ে বিয়ে বাড়িতে অবস্থানরত বরের মেয়ের শিশুপুত্রসহ মোট ৬ বরযাত্রীকে আটকে রাখে মেয়ের পরিবারের লোকজন। মেয়ের পিতার দাবি বিয়েতে খাওয়া-দাওয়া বাবদ প্রায় ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ওই টাকা দিলে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হবে। বরপক্ষ আটক ৬ বরযাত্রীকে ছাড়িয়ে নিতে মোক্তারপুরের শুকুর আলীর ছেলে ফারুক, একই গ্রামের মৃত দিদার হোসেনের ছেলে সুলতান এবং মৃত মঙ্গলের ছেলে বাছের আলীর স্মরণাপন্ন হয়। তারা বরপক্ষের লোকজনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় কনের বাড়িতে আসে এবং মেয়ের পিতা ও মেয়েকে মারধর করে আটক ওই ৬ বরযাত্রীকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর মেয়ের পিতা মোজাম্মেল হক বাদী হয়ে বর সোহরাব, ঘটক হুদাপাড়ার মিলা, মোক্তারপুরের ফারুক, সুলতান, বাছের ও কালুকে আসামি করে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।