নবজাতককে ফেরত দিতে নারাজ বাদশা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশন থেকে কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতককে দামুড়হুদা দশমিপাড়ার বাদশা ও তার স্ত্রী ফেরত দিতে নারাজ। সাময়িক জিম্ময় নিয়ে নাকি ওদের মায়া বসে গেছে। অপরদিকে সমাজসেবা অধিদফতর চুয়াডাঙ্গার প্রবেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল সামী একাধিক আবেদন তোয়াক্কা না করে তড়িঘড়ি বাদশার নিকট নবজাতককে তুলে দিয়ে বিরূপ সমালোচনার মধ্যেই শুধু পড়েনি, তিনি কেনো দিয়েছেন তা ক্ষতিয়ে দেখার জোর দাবি উঠতে শুরু করেছে। এদিকে দামুড়হুদা দশমির বাদশা গতকাল দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিতি প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, সকল নিয়ম মেনেই নবজাতককে প্রবেশন অফিসার আমাদের নিকট তুলে দিয়েছেন। তিনি কোনো অর্থ নেননি।

চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মের উত্তরপ্রান্তে ডাকঘরের সামনে থলেই ভরা নবজাতক উদ্ধারের পর জিআরপির এক কনস্টেবলের স্ত্রীর নিকট রাখা হয়। পরদিন সেখান থেকে সমাজসেবা অধিদফতরের চুয়াডাঙ্গা প্রবেশন কর্মকর্তা ওই বেওয়ারিশ একদিনের পুত্র শিশুকে গ্রহণ করেই দামুড়হুদা দশমির ডিশক্যবল ব্যবসায়ী বাদশার নিকিট হস্তান্তর করেন। অথচ তার আগে অনেকেই নবজাতককে পাওয়ার আশায় আবেদন জানান। তাদের আবেদনকে তোয়াক্কা না করে বাদশার নিকট সাময়িক জিম্মায় দেয়ার হেতু নিয়ে প্রশ্ন উঠে। গতকাল এ বিষয়ে পত্রিকায় বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তার প্রেক্ষিতে দামুড়হুদা দশমিপাড়ার মৃত কাজী আব্দুস সাত্তারের ছেলে আশাদুর রহমান বাদশা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছেন, নিয়ম মেনে নিজের সন্তান হিসেবে লালন পালনের নিমিত্তেই ওই বেওয়ারিশ নবজাতককে গ্রহণ করেছি। বাড়ি নিয়ে স্ত্রীসহ সকলে ওকে মায়ার জালে জড়িয়েছি। ওকে ফেরত দেয়ার মতো কোনো অবস্থা নেই।