নদী চরের বালি ভাগাভাগি নিয়ে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপে সংঘর্ষ : আহত ১৫

ঝিনাইদহ অফিস: ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। কুমার নদী চরের বালি ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে গতকাল শুক্রবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার হড়লা গ্রামে এ সংঘর্ষের  ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ১৩ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী জানায়, শৈলকুপার হড়লা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা দিগনগর ইউপি চেয়ারম্যান তোজাম উদ্দীনের সমর্থকদের দুটি গ্রুপ রয়েছে। শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে কুমার নদীর চর থেকে বালি কাটা নিয়ে ওই গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মোমিন জোয়ার্দ্দার ও আকাম শেখ গ্রুপের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ঢাল, ভেলা, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তারা তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে সিদ্দিক আলী, দুলাল মোল্লা, মোকাম শেখ, তারিফ হোসেন, চাঁদ আলী মোল্লা, গোলাম রসুল, মানিকসহ  উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে মোকাম শেখ ও মানিক নামে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সংঘর্ষের পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। গ্রামটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

দিগনগর ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা তোজাম উদ্দিন জানান, তাদের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে জায়গা দখল ও বালি কাটা নিয়ে সামান্য সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। তবে এলাকাবাসী জানায়, হড়লা গ্রামের আকাম শেখ ও তার জামাই নজরুল ইসলাম এলাকায় চাঁদাবাজি, গরুচুরি, ডাকাতি, ভূমি দখলসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। তাদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ মানুষ অতিষ্ঠ। নজরুল ইসলামের নামে হত্যা ও চাঁদাবাজির একাধিক মামলা রয়েছে। তবে ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে চলায় প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

শৈলকুপা থানার এএসআই দাউদ হোসেন জানান, চরের বালি কাটা নিয়ে হড়রা গ্রামে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দু গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। তবে পুলিশ মোতায়েনের পর বর্তমানে সেখানকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।