নতুন বছরে বই উৎসব নিয়ে সংশয়

 

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশে একযোগে জাতীয় বই উৎসব পালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাজেট ঘাটতি ও যথাসময়ে কাগজ না পৌঁছানোসহ নানা সংকটে নতুন বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরো এক সেট বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে আংশিক বই তুলে দিয়ে এবারের জাতীয় বই উৎসব পালন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মতো এবারও সারাদেশে ১ জানুয়ারি ২০১৭ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬ হাজার ৩২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৬ কোটি ২১ লাখ পাঠ্যপুস্তক আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবির ভুল বাজেট তৈরি। বিভিন্ন প্রকাশনার মালিকরা বলছেন, তারা যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্থ হাতে পাননি। এ কারণে কর্মচারীদেরও বেতন যথাসময়ে দিতে পারেননি। যা কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। তাই তাদের কাজেও চাপ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে যথাসময়ে বই সরবরাহ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির (বামুশিস) কর্মকর্তারাও বলছেন তারা এনসিটিবির কাছ থেকে যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছেন না। এ কারণে যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ ভাগ করে দিয়েছেন তারা বই দিতে গড়িমসি করছে।

জানা গেছে, এনসিটিবি এবার ২০০ কোটি টাকা কম বাজেট দেখিয়েছে। ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের থেকেও অর্থ কম এসেছে। যার প্রভাব পড়ছে, প্রকাশকদের যথাসময়ে প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে। তবে বাজেটে ভুল বা কোনো ধরনের অনিয়মের বিষয়ে জানার জন্য এনসিটিবির চেয়ারমান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা চাপে আছেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে চান না। যে দুইশ’ কোটি টাকার কথা উঠছে তা অনিয়ম নয়। বরং হিসেবে ভুলের কারণে কম বাজেট দেখানো হয়েছে। তবে সংশোধনীর মাধ্যমে নতুন করে বাজেট চাওয়া হয়েছে। বাজেট পেলেই মুদ্রণ সমিতির মাধ্যমে ঠিকাদার ও সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের টাকা পরিশোধ করে দেয়া হবে। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

ডিসেম্বরের ১৭ তারিখের মধ্যে সব বই এনসিটিবির হাতে এসে পৌঁছানোর কথা থাকলেও জানা গেছে, এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ বই এসে পৌঁছায়নি। গত ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের (ট্রেড বই) ৯ লাখ ২১ হাজার ১১০টি বই সরবরাহের টার্গেট থাকলেও তাও পূর্ণ হয়নি। ইবতেদায়ী ও দাখিলের ২০ শতাংশ বই ছাপা বাকি রয়েছে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিকের ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় ছাপানো ২৪ হাজার ৬৪১ জন শিশুর জন্য ৫১ হাজার ৭৮২টি বই গত ৫ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে বই সরবরাহ করার কথা রয়েছে। তবে এ হিসেবে বাকি দিনের মধ্যে বই ছাপা শেষ করে উপজেলা পর্যায় পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের পাঠদানের জন্য ২৫ হাজার ৫শ টিসিং ম্যাটারিয়াল (ফ্লি চার্ট, ফ্লাশ কার্ড, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ চার্ট) একই সঙ্গে টেন্ডার দেয়ায় এগুলোও নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত সব অঞ্চলে যথাসময়ে বই পৌঁছানোর বিষয়টি এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

নতুন বছরে বই উৎসব নিয়ে সংশয়

স্টাফ রিপোর্টার: সারাদেশে একযোগে জাতীয় বই উৎসব পালিত হওয়ার কথা থাকলেও বাজেট ঘাটতি ও যথাসময়ে কাগজ না পৌঁছানোসহ নানা সংকটে নতুন বছরের প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরো এক সেট বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে কি-না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের হাতে আংশিক বই তুলে দিয়ে এবারের জাতীয় বই উৎসব পালন করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, গত বছরের মতো এবারও সারাদেশে ১ জানুয়ারি ২০১৭ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের প্রায় ৩ কোটি ২২ লাখ ৩৬ হাজার ৩২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে ৩৬ কোটি ২১ লাখ পাঠ্যপুস্তক আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে দেয়ার কথা রয়েছে। নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে না পারার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড এনসিটিবির ভুল বাজেট তৈরি। বিভিন্ন প্রকাশনার মালিকরা বলছেন, তারা যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্থ হাতে পাননি। এ কারণে কর্মচারীদেরও বেতন যথাসময়ে দিতে পারেননি। যা কর্মচারীদের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করেছে। তাই তাদের কাজেও চাপ দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠানগুলো। এ কারণে যথাসময়ে বই সরবরাহ নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির (বামুশিস) কর্মকর্তারাও বলছেন তারা এনসিটিবির কাছ থেকে যথাসময়ে পর্যাপ্ত অর্থ পাচ্ছেন না। এ কারণে যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে কাজ ভাগ করে দিয়েছেন তারা বই দিতে গড়িমসি করছে।

জানা গেছে, এনসিটিবি এবার ২০০ কোটি টাকা কম বাজেট দেখিয়েছে। ফলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের থেকেও অর্থ কম এসেছে। যার প্রভাব পড়ছে, প্রকাশকদের যথাসময়ে প্রাপ্য টাকা বুঝিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে। তবে বাজেটে ভুল বা কোনো ধরনের অনিয়মের বিষয়ে জানার জন্য এনসিটিবির চেয়ারমান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায় নি। তবে এনসিটিবির একজন কর্মকর্তা এ বিষয়ে বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা চাপে আছেন। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে কথা বলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে চান না। যে দুইশ’ কোটি টাকার কথা উঠছে তা অনিয়ম নয়। বরং হিসেবে ভুলের কারণে কম বাজেট দেখানো হয়েছে। তবে সংশোধনীর মাধ্যমে নতুন করে বাজেট চাওয়া হয়েছে। বাজেট পেলেই মুদ্রণ সমিতির মাধ্যমে ঠিকাদার ও সব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের টাকা পরিশোধ করে দেয়া হবে। তখন আর কোনো সমস্যা থাকবে না।

ডিসেম্বরের ১৭ তারিখের মধ্যে সব বই এনসিটিবির হাতে এসে পৌঁছানোর কথা থাকলেও জানা গেছে, এখনও প্রায় ৪০ শতাংশ বই এসে পৌঁছায়নি। গত ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনালের (ট্রেড বই) ৯ লাখ ২১ হাজার ১১০টি বই সরবরাহের টার্গেট থাকলেও তাও পূর্ণ হয়নি। ইবতেদায়ী ও দাখিলের ২০ শতাংশ বই ছাপা বাকি রয়েছে। এছাড়া প্রাক-প্রাথমিকের ৫টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মাতৃভাষায় ছাপানো ২৪ হাজার ৬৪১ জন শিশুর জন্য ৫১ হাজার ৭৮২টি বই গত ৫ ডিসেম্বর দরপত্র আহ্বান করা হয়। কার্যাদেশের শর্তানুযায়ী পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে বই সরবরাহ করার কথা রয়েছে। তবে এ হিসেবে বাকি দিনের মধ্যে বই ছাপা শেষ করে উপজেলা পর্যায় পৌঁছানো নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের পাঠদানের জন্য ২৫ হাজার ৫শ টিসিং ম্যাটারিয়াল (ফ্লি চার্ট, ফ্লাশ কার্ড, স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণ চার্ট) একই সঙ্গে টেন্ডার দেয়ায় এগুলোও নির্ধারিত সময়ে সরবরাহ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। ফলে আগামী ১ জানুয়ারির মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত সব অঞ্চলে যথাসময়ে বই পৌঁছানোর বিষয়টি এখন অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।