নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস থেকে মোমিনপুর স্টেশনে নামিয়ে দেয়া বৃদ্ধের মৃত্যু

 

 

চুয়াডাঙ্গা হাসপাতালমর্গে লাশ : পরিচয় মেলেনি

স্টাফ রিপোর্টার: নকশি কাঁথা এক্সপ্রেস থেকে নামিয়ে দেয়া অপরিচিত বৃদ্ধ মোমিনপুর স্টেশনে পড়ে থেকে মারা গেলেও গতরাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পরিচয় মেলেনি। কীভাবে তিনি অসুস্থ হয়েছেন, কেন তাকে গোয়ালন্দগামী নকশি  কাঁথা এক্সপ্রেস থেকে নামিয়ে দেয়া হয় তার স্পষ্ট জবাব না মিললেও স্থানীয় অনেকেই বলেছেন, ট্রেনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার কারণে টিটি তাকে মোমিনপুর স্টেশনে নামিয়ে দেন।

বৃদ্ধের গায়ে শাদা গোল গলা গেঞ্জি, পরনে ছায় রঙের চাঁদর। চেহারায় দারিদ্র্যের ছাপ। সকাল ৭টার দিকে তাকে গোয়ালন্দগামী নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস থেকে চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর স্টেশনে নামিয়ে দেয়া হয়। দীর্ঘ সময় তিনি স্টেশনেই পড়ে ছিলেন। বেলা আনুমানিক ২টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন ফাঁড়ির জিআরপি সদস্যরা লাশ উদ্ধার করেন। লাশ হাসপাতালমর্গে নেয়া হয়। অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ দ্রুত হাসপাতালমর্গে নিয়ে আটকানোর কারণে বিরূপ মন্ত্যব্যের জোয়ার ওঠে। সাংবাদিকেরা ছবিও নিতে না পেরে দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন। শেষ পর্যন্ত সহযোগিতার হাত বাড়ান মানিকুজ্জামান। তারই সহযোগিতায় মর্গের লাশ রাখা কক্ষের তালা খুলে ছবি নেয়া সম্ভব হয়।

অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৬৫ থেকে ৭৫ বছর। মাথায় কাঁচা-পাকা হালকা চুল। মুখে চাপ পাকাদাঁড়ি। আজ দুপুরের মধ্যে কেউ লাশ শনাক্ত না করলে বিকেলে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে দাফনের প্রক্রিয়া করা হবে। আমাদের মোমিনপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, বৃদ্ধ যখন মোমিনপুর স্টেশনে পড়ে ছিলেন, তখন তাকে দেখে অনেকেই বলেন, মুখচেনা বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু চিনতে পারছি না।