নকল গাইডবইয়ের কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ২ হাজার টাকা জরিমানা : সিলগালা

চুয়াডাঙ্গায় নকল গাইডবই তৈরির কারখানা আবিষ্কার : পুরোনো বইয়ে নতুন মোড়ক

 

স্টাফ রিপোর্টার: পুরোনো গাইড বইয়ে ২০১৪ সালের নতুন মোড়ক লাগানোর সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত হাতেনাতে ধরেছেন তিন কর্মচারীকে। নকল গাইডবই তৈরির দায়ে বইমালিক রফিকুল ইসলামকে ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। তবে রফিকুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে এ জরিমানার টাকা তাৎক্ষণিকভাবে পরিশোধ করেন কর্মচারী মোশারফ হোসেন উজ্জ্বল। এ সময় নকল গাইডবই তৈরির কারখানায় সিলগালা লাগিয়ে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সূত্র জানায়, রাজবাড়ী জেলার রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন কোম্পানির দ্বিতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণির গাইডবই বাজারজাত করে থাকেন। এ জন্য চুয়াডাঙ্গা রেলস্টেশন সংলগ্ন স্টেডিয়াম মাঠের পাশে একটি নির্জন এলাকায় শামসুজ্জোহার গুদামঘর ভাড়া নিয়ে বইপত্র রাখেন তিনি। সেখানে হাজার হাজার পুরোনো গাইডবই নতুন বছরের মোড়ক লাগিয়ে নতুন বানানো হচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল কবীর চৌধূরী। বিষয়টি জানানো হয় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবুল আমিনকে। তাঁর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গতরাত ৯টার দিকে আকস্মিক অভিযান চালান। গুদামঘরে থাকা ৩ কর্মচারী নকল বই তৈরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়েন। এরা হলেন- শরিয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার মশুরা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান খানের ছেলে  মোশাররফ হোসেন উজ্জ্বল, একই জেলার পালং উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের আবু ফরাজির ছেলে হারুন ও মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলার বাহালাতলী গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের ছেলে মনির। এ সময় আদালত দেখতে পান গুদামবোঝাই অবৈধ গাইডবই। যেগুলো কয়েক বছর আগের। তাতে ২০১৪ সালের মোড়ক লাগিয়ে নতুন বানানো হচ্ছিলো। আদালত কারখানার সকল গাইডবই বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন।

এ সময় অবৈধ গাইডবইয়ের মালিক রফিকুল ইসলামকে আদালত নোটবই নিষিদ্ধকরণ আইন ১৯৮০ এর ৩ ধারা আওতাধীন ৪ ধারা মোতাবেক ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদণ্ড দেন। দোকানকর্মচারী মোশাররফ হোসেন উজ্জ্বল তাৎক্ষণিকভাবে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। জরিমানা আদায়ের পর গাইডবই রাখা গুদামে সিলগালা করে দেন আদালত। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এরশাদুল কবীর চৌধুরী ও এসআই রবিউল ইসলাম।