ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পিতাসহ দু পুত্রকে জখম করেছে একদল যুবক

চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ায় নারী ধুপি বিক্রেতার পাশে বসে ধুপি খাওয়ার সময় আপত্তিকর উক্তি নিয়ে বিরোধ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার পিতাসহ দু ছেলেকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজনকে গতরাতেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নেয়া হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

[ads1]
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার মনোয়ার হোসেন গান্ধি (৫৫) ও তার ছেলে জনি (৩৪) রেলবাজারে মাংসের ব্যবসা করেন। অপর ছেলে রবিন (২৮) বিএডিসি’র শ্রমিক। তিনজনের মধ্যে পিতা মনোয়ার হোসেনের পায়ে ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারা হয়েছে। জনির মাজাসহ কয়েকটি স্থানে কুপিয়ে গুরুতর জখমে অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়েছে। রবিনের শরীরের বেশ কয়েকটি স্থানে কোপানো হলেও সে অবশ্য শঙ্কামুক্ত বলে মন্তব্য করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক। জনির মাজার কোপটি গুরুতর। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রেফার করা হয়। গতরাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।

ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে রবিন বলেছেন, সন্ধ্যায় স্টেশনের পাশের এক মহিলা ধুপি বিক্রেতার নিকট বসে ধুপি খাচ্ছিলাম। এ সময় ফার্মপাড়ারই আব্দুর রহমান ও রিপন আপত্তিকর কথা বলে। বাগবিতণ্ডা হয়। আমার পিতা এসে ওদের ধমক দেয়। দুজনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই কিছুক্ষণ পর ওরা ৬/৭ জনকে সাথে নিয়ে ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের বাড়ি হানা দেয়। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমাদের তিনজনকে রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করিয়েছে।

আহত রবিন এ তথ্য দিলেও আড়ালে অন্য কোনো ঘটনা আছে কি না তা অবশ্য নিশ্চিত করে জানা যায়নি।