ধারালো অস্ত্র ও বোমা মারার হুমকি দিয়ে গণহারে নগদ টাকাসহ ৪ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট

জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কে গাছ ফেলে টানা দু ঘণ্টা ধরে ডাকাতদলের তাণ্ডব : ডাকাতির শিকার অর্ধশত ব্যক্তি

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা জীবননগরের সন্তোষপুর-আন্দুলবাড়িয়া সড়কের একতারুর রাস্তার নিকট গাছ ফেলে দীর্ঘসময় ধরে গণহারে লুটপাট চালিয়েছে ১৫/১৬ জনের একদল সশস্ত্র ডাকাত। গতরাত আনুমানিক ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ট্রাক, আলমসাধু, মিশুক ও পিকআপ থামিয়ে চালক ও আরোহীদের নিকট থেকে মোবাইলফোন, সোনার গয়না, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে ডাকাতদল।

প্রায় ৫০ জনের নিকট থেকে আনুমানিক নগদসহ ৪ লাখ টাকার মালামাল ডাকাতি করা হয়েছে। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়েছে। প্রায় দু ঘণ্টা ধরে তাণ্ডব চালিয়ে সড়ক ডাকাতদল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে জীবননগর থানা পুলিশের টহল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। স্থানীয়দের অভিযোগ, শাহপুর পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা রাতে চিহ্নিত সড়কটিতে টহল দিলে এভাবে সড়কে গাছ ফেলে দীর্ঘ সময় ধরে ডাকাতদল তাণ্ডব চালাতে পারতো না। শাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির টহলদল মাঝে মাঝে দেখা গেলেও গতরাতে কেনো তাদের টহলে দেখা গেলো না? এসব প্রশ্নের জবাব খুঁজচ্ছে ডাকাতির শিকার ব্যাক্তিরাসহ স্থানীয় সাধারণ জনতা। স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে যে সড়কটি ছিনতাইকারী ও ডাকাতদলের অভ্যায়রণ্য, সেখানে কেন পুলিশ নিয়মিত টহল দেয়া না। টহল দিলেও যেদিন ছিনতাই-ডাকাতি হয় সেদিন তখন কেনো টহল থাকে না?

ডাকাতির শিকার বাজদিয়ার কপি ব্যবসায়ী ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, সড়কে গাছ ফেলে ধারালো অস্ত্র ধরে বোমা মারার হুমকি দিয়ে ২টি ট্রাক, দুটি আলমসাধূ, ২টি মিশুক, ২টি পিকআপসহ বেশ কয়েকটি যানবহনের চালকসহ আরোহীদের জিম্মি করে। দীর্ঘ সময় ধরে ১৫/১৬ জনের ডাকাতদল তাণ্ডব চালায়। মোবাইলফোন, সোনার গয়না, নগদ টাকা কেড়ে নেয়। কেউ বাধা দিতে গেলে তাকে বেধড়ক পেটায় ডাকাতদলের সদস্যরা। ডাকাতি শেষে ডাকাতদল চলে গেলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় জীবননগর থানার টহলদল। টহল দলের এসআই আবুল হোসেন ঘটনার বর্ণনা শোনেন। এ সময় সাংবাদিকদের জানানো হলো কেন প্রশ্ন তুলে পুলিশ পিকআপের চালক উগ্র আচরণ করে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। ডাকাতির শিকার হলাম, ঘটনা সাংবাদিক জানতে চেয়েছে, বলেছি। এ কারণে গ্রেফতারের হুমকিও দেয়া হলো। কোথায় আছি আমরা?

এলাকাবাসী শাহপুর পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের আশু দৃষ্টি কামনা করে সড়কে একের পর এক ছিনতাই ডাকাতি প্রতিরোধে পদক্ষেপ কামনা করেছে।