ধারালো অস্ত্রের এলোপাতাড়ি কোপে ছাত্রলীগকর্মী ক্ষতবিক্ষত

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ছাত্রলীগকর্মী ইস্তিয়াককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতরাত সাড়ে ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কের রাজধানী ক্লিনিকের সামনে কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে।

ইস্তিয়াক ওরফে ইস্তি (২২) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের মুক্তিপাড়ার ইমান আলীর ছেলে। সে ছাত্রলীগের সদস্য। গতরাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেছেন, ইস্তির বাঁ হাতের বৃদ্ধ আঙুলটি শরীর থেকে বিছিন্ন হয়ে গেছে। সেটি খুঁজেই পাওয়া যায়নি। একই হাতের কনুইয়ের নিচের কোপটি গুরুতর। এছাড়া ঘাড়েও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বড় ক্ষত হয়েছে।

কেন এবং কারা এই নগ্ন হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়েছে? এ প্রশ্নের জবাব দেয়নি ইস্তি। তার শয্যাপাশে থাকা তেমন কেউই মুখ খোলেনি। হাসপাতাল সড়কে পায়ে হাঁটার সময় রাজধানী ক্লিনিকের সামনে পৌঁছুলে ৫/৬ জনের একদল যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। হাত দিয়ে ঠেকানোর সময় হাতের আঙুল কেটে পড়ে যায়। অপর কোপে একই হাতের প্রায় অর্ধেক অংশ ঝুলে গেছে। ঘাড়ের কোপটিও গুরুতর। ঘটনার পর পরই স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয় ইস্তিকে। হাসপাতালের নিকট ঘটনা ঘটলেও তাকে অজ্ঞাত কারণে প্রথমে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে। সেখানে তাকে গ্রহণ করা না হলে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরপরই তাকে ঢাকার উদ্দেশে নেয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

ইস্তিয়াক ওরফে ইস্তি ও তার সাথে থাকা লোকজন হামলাকারীদের সম্পর্কে কেন মুখ খোলেনি তাও নিশ্চিত করে জানা সম্ভব হয়নি। তবে একটিসূত্র বলেছে, পৌর কলেজ এলাকার কয়েক যুবক এ হামলা চালিয়েছে। পূর্ব বিরোধের কারণেই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আসাদুজ্জামান মুনসী বলেছেন, ঘটনা শুনেছি। হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য নেয়া হচ্ছে।