ধারালো অস্ত্রের উপর্যুপরি কোপে যুবলীগকর্মী রাজা ও ইমরান জখম

চুয়াডাঙ্গা ফার্মপাড়ার দিকে যাওয়ার সময় রেলস্টেশনের কাছে একদল যুবকের হামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার যুবলীগকর্মী রাজা ও ইমরানের ওপর হামলা করা হয়েছে। উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করা হয়েছে রাজাকে। ইমরানও রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে কোপানো হয়েছে। মোটরসাইকেলযোগে রেল স্টেশনের পাশ দিয়ে ফার্মপাড়ার দিকে যাওয়ার সময় একদল যুবক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে। এ ব্যাপারে গতরাতে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছিলো।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা বাগানপাড়ার এম এ রানার ছেলে রাজু আহমেদ রাজা (২৪) ও চুয়াডাঙ্গার নুর নগর গ্রামের ভুলুর ছেলে ইমরান (২২) আলাদা আলাদা মোটরসাইকেলযোগে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে বের হন। তারা রেলস্টেশনের পাশের রাস্তা দিয়ে ফার্মপাড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় রেললাইনের পাশে অবস্থান নিয়ে থাকা একদল যুবক তাদেরকে থামতে বলে। রাজা ও ইমরান থামার সাথে সাথে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে যুবকরা হামলে পড়ে। উপর্যুপরি কোপানো হয় রাজাকে। তবে ইমরান একটা কোপ খেয়েই অবস্থা বেগতিক দেখে সটকে পড়েন। আহত রাজাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজা সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগের কর্মী দাবি করে অভিযোগ করেন, ফার্মপাড়ার জনি, মিন্টু, দিপু, সোহেল, রনি ও আরামপাড়ার জামাল কোনো কারণ ছাড়াই এভাবে হামলা চালিয়েছে। রাজার মাথায়, হাতে, পিঠে ও মাজায় ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগে বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানিয়েছেন। তার মাথা ও হাতে সেলাই দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে গতরাতে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো। তবে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) কামরুজ্জামান দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা যুবলীগের মধ্যে আভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগ উঠছে। তাই সত্য-মিথ্যা যাচাই করেই মামলা নেয়া হবে।