ধর্ষণের শিকার ৯ বছরের বাকপ্রতিবন্ধী : অভিযুক্ত ৫ম শ্রেণির ছাত্র

আলুকদিয়া থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে বের হতেই ধর্ষণের শিকার শিশুর পিতা-মাতাকে মেরেছে অভিযুক্তের বাবা দুলাল
স্টাফ রিপোর্টার: ৯ বছর বয়সী বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেছে ১২ বছরের এক বালক। এ অভিযোগ তুলে চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়ার একটি পরিবার বলেছে, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রতিবন্ধী শিশু রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরলে ঘটনা প্রকাশ পায়। ৫ম শ্রেণিতে পড়া বালকের দিকে আঙ্গুল তুলতেই তার পিতা আলুকদিয়ার দুলাল ওই বাকপ্রতিবন্ধী শিশুর মাতা-পিতাকে মেরে আহত করে।
ধর্ষণের শিকার বাক-শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পিতা-মাতা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশুর অসহায় পিতা-মাতা বলেছেন, আমরা মেয়েকে বাঁচানোর জন্য যখন হাসপাতালের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হচ্ছি, তখন দুলাল ভেবেছে আমরা থানায় যাচ্ছি। বাড়ি থেকে যাতে না বের হতে পারি সেজন্য দুলাল সামনে দাঁড়িয়ে বাঁধা দেয়। আমাদের মেরে পরনের শাড়ি-কাপড় ও জামা ছিঁড়ে দেয়। গতকাল সন্ধ্যার পর চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া আনসার ক্যাম্পের নিকট এসব ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আলুকদিয়া আনসার ক্যাম্পপাড়ার অদূরেই রয়েছে ফাঁকা মাঠ। তার পাশে পরিত্যক্ত একটি ঘর। ওই ঘর থেকে সন্ধ্যায় বাকপ্রতিবন্ধী শিশু বের হয়। বাড়ি ফেরে। রক্তাক্ত অবস্থা দেখে তাকে তার মতো করে জিজ্ঞাসা করা হলে সে বোঝায় তার ওপর অত্যাচার করা হয়েছে। এরপর মহল্লার বেশ কয়েক ছেলেকে সামনে আনা হলে বাকপ্রতিবন্ধী দেখিয়ে দেয় যাকে, তার বয়স যায় হোক সে ৫ম শ্রেণির ছাত্র। গফদাঁড়ি গজায়নি এখনো। ওই কিশোরের পিতা দুলাল ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগেন। বাকপ্রতিবন্ধীকে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হতে গেলে দুলাল ও তার লোকজন মারধর শুরু করে। পক্ষান্তরে অভিযুক্ত কিশোরের পিতার তরফেও তাৎক্ষণিক ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করা হয়েছে।