হাজতি আসামি আলমের সাথে নবজাতকের মিলের বিষয়টি নিশ্চিত করতে নেয়া হচ্ছে ডিএনএ নমুনা
স্টাফ রিপোর্টোর: সবকিছু ঠিক ঠাকই ছিলো। অথচ শেষ পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার বাকপ্রতিবন্ধীর প্রসূত সন্তান জীবিত হলো না। কেনো? তা জানতেই আজ নবজাতকের মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হবে। ভিসেরা রিপোর্টের জন্য নমুনা ঢাকায় পাঠানোর পাশাপাশি অভিযুক্ত ধর্ষক আলমের সাথে নবজাতকের ডিএনএ পরীক্ষারও প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার মালিকপাড়ার বাকপ্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। একই গ্রামের নূর নবীর ছেলে দু সন্তানের জনক আলম তার বাড়ি নিয়ে বাকপ্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার ৫ মাসের মাথায় যখন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ার বিষয়টি প্রকাশ পায় তখনই মূলতঃ ঘটনাটি মামলার দিকে গড়ায়। আলম আত্মসমর্পণ করেন। আদালত জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
অপরদিকে, বাকপ্রতিবন্ধীর সন্তান প্রসবের দিন এগিয়ে আসতে থাকে। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা যায় বাকপ্রতিবন্ধী পুত্র সন্তানের প্রসব করবে। পেটে পুত্র সন্তান বেশ ভালোই ছিলো। গতপরশু শনিবার বিকেলে প্রসব বেদনা দেখা দিলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতে চিসিৎসক দেখে জানান, সব ঠিকঠাক থাকলে রোববার সকালেই সিজার করে বাকপ্রতিন্ধীর সন্তান প্রসব করানো হবে। গতপরশু মধ্যরাত পর্যন্ত সব ঠিকই ছিলো। শেষ রাতে তীব্র যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে প্রসূতি। সকাল আনুমানিক ৯টার দিকে আল্ট্রাসনো করে চিকিৎসক জানান, অপারেশনের আর দরকার নেই। সন্তান মারা গেছে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সাংবাদিকদের মধ্যে চাঞ্চল্যেরই শুধু সৃৃষ্টি হয় না, চিকিৎসার ফাইলে কয়েক দফা লাপাত্তার নজির মেলে। শেষ পর্যন্ত গতরাত ৯টার দিকে বাকপ্রতিবন্ধী মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেন।
নবজাতককে নেয়া হয়েছে মর্গে। আজ সোমবার ময়না তদন্ত করা হবে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ভিসেরা পরীক্ষার জন্য নমুনা ঢাকায় প্রেরণের পাশাপাশি হাজতি আসামি আলমের সাথে নবজাতকের মিল রয়েছে কিনা তা জানতে ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষাগারে প্রেরণের প্রক্রিয়া করা হচ্ছে।