ধর্ষক খুনি মোমিনুলের ফাঁসির দাবিতে দর্শনায় মানববন্ধন

দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরে ৭ বছরের শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলা

দর্শনা অফিস: দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুরের ৭ বছরের ফুটফুটে শিশু সুমাইয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত অভিযুক্ত মোমিনুল। পুলিশ ঘটনার ঘণ্টাখানেকের মাথায় অভিযুক্ত লম্পট মোমিনুলকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। মোমিনুল গ্রেফতারের পর থেকে ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত ধর্ষক ও খুনি লম্পট মোমিনুলের ফাঁসির দাবিতে ফুসে উঠেছে সর্বস্তরের মানুষ। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ রয়েছে অব্যাহত। এবার মোমিনুলের ফাঁসির দাবিতে মাঠে নামলো দর্শনা উলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ। গতকাল শুক্রবার বিকেলে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মোমিনুলের ফাঁসির দাবি তুলে বক্তব্য দেন দর্শনা থানা উলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ মুফতি গোলাম কিবরিয়া, সাধারণ সম্পাদক মাও আব্দুল মালেক, সহসভাপতি মুফতি আব্দুর রাজ্জাক, মাও হাফিজুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক মাও. ফরহাদ হোসেন, মাও জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাও জাফর ইকবাল, কোষাধ্যক্ষ মাও আব্দুল খালেক, সহপ্রচার সম্পাদক মাও. আমিনুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুফতি শুয়াইব, দফতর সম্পাদক মুফতি আবুল বাশার, কার্যনির্বাহী সদস্য, মাও. এনামুল হক, মাও. জাকির হোসাইন, মাও. ইব্রাহিম, মাও. রফিকুল ইসলাম, মাও. হামিদুর রহমান, মাও. বেলাল হোসাইন, মাও আব্দুস সালাম ও হাফেজ হায়দার হোসেন। শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন দর্শনা রেলবাজার জামে মসজিদের পেশইমাম মাও. জুনায়েদ। উলামা পরিষদের প্রচার সম্পাদক মাও মোস্তাফিজুর রহমানের উপস্থাপনায় উপস্থিত ছিলেন দর্শনা রেল বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাফিজুর রহমান, ইছাহাক মোল্লা, আজাদুল ইসলাম, আব্দুল মমিন, মুফতি মনিরুল ইসলাম, মহিদুল ইসলাম, সোলাইমান, রকিবুল ইসলাম প্রমুখ। উলামা পরিষদের সভাপতি আলহাজ মুফতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, অভিযুক্ত ধর্ষক ও খুনি মোমিনুল যখন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে তার দোষের কথা। সেক্ষেত্রে কাল বিলম্ব না করে দ্রুত বিচার করা হোক খুনি ও ধর্ষকের।
উল্লেখ্য, দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের পারকৃষ্ণপুর ইউপি মোড়পাড়ার কাঠুরে নাসির উদ্দিনের ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণিতে পড়–য়া একমাত্র মেয়ে সুমাইয়া খাতুন প্রতিদিনের মতো গত শনিবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরে দুপুর ১২ টার দিকে। স্কুল পোশাক পাল্টে বাড়ি থেকে খেলার জন্য সুমাইয়া বের হলেও বিকেল পর্যন্ত তার হদিস পাওয়া না যাওয়া শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। খুঁজতে খুঁজতে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা, সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত শুরু হলেও খুঁজে পাওয়া যায় না সুমাইয়াকে। রাত ৮টার দিকে গ্রামসহ আশপাশ এলাকায় সুমাইয়া নিখোঁজের মাইকিং করা হয়। মাইকিংয়েও কোনো প্রকার সন্ধান না পাওয়ায় রাত ৯টার দিকে গ্রামবাসী দল বেধে লাইট হাতে মাঠ-ঘাট খোঁজা শুরু করে। রাত সোয়া ১০টার দিকে ইউনিয়ন পরিষদ মাঠের আয়ুব আলীর সিম বাগানে সুমাইয়ার ক্ষত-বিক্ষত বিবস্ত্র লাশ পড়ে থাকতে দেখে চমকে উঠে সবাই। মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাস্থলে ভিড় জমে গ্রামবাসীর। এ সময় সুমাইয়ার বিবস্ত্র ক্ষত-বিক্ষত লাশ দেখে সৃষ্টি হয় হৃদয়বিদারক ঘটনার।