দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে সাড়াদিয়ে ঢাকায় গিয়ে খুন হলেন চুয়াডাঙ্গা তমালতলার সেলিম রেজা : স্ত্রীসহ আটক ২

 

বেগমপুর প্রতিনিধি: প্রেম করে বিয়ে করা দ্বিতীয় স্ত্রীর ডাকে সাড়াদিয়ে ঢাকার আশুলিয়ায় গিয়ে পরিকল্পিত খুনের শিকার হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকন্দবাড়িয়া তমালতলার সেলিম রেজা। লাশ ফেলতে গিয়ে জনতার হাতে আটক হলেন স্ত্রী নাটরের জেমি বেগম ও তার সহযোগী বগুড়ার মোখলেছুর রহমান। ময়না তদন্ত শেষে নিজ গ্রামে এনে সেলিম রেজার দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিতা আনারুল বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া তমালতলার আনারুলের ছেলে সেলিম রেজা (২৫) মাস দুয়েক আগে প্রম সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করেন নাটর জেলার লালপুর থানার বিলমারিয়া গ্রামের খায়ের শিকদারের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা এক সন্তানের জননী জেমি বেগমের সাথে। জেমি বর্তমানে ঢাকা আশুলিয়া ঘোষবাগে ইদ্রিস আলীর বাড়িতে ভাড়া থাকে। জেমির ডাকে সাড়া দিয়ে সেলিম বুধবার রাতে ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে রওনা দেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আশুলিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে খবর আসে সেলিমকে পয়জন খাওয়িয়ে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় লোকজন উর্দ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সেলিমের বাড়ির লোকজন আশুলিয়া গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে গিয়ে ছেলের লাশ সনাক্ত করেন এবং ময়নাতদন্ত শেষে বাড়িতে নিয়ে আসেন। গতকাল শনিবার ভোর রাতের দিকে তার দাফন সম্পন্ন করেন। এদিকে সেলিমকে পয়জন খাওয়িয়ে রাস্তায় ফেলে রাখার সময় স্থানীয় লোকজন সেলিমের দ্বিতীয় স্ত্রী জেমি এবং তার সহযোগী বগুড়া জেলার দেওবাগ গ্রামের আজগার আলীর ছেলে মোখলেছুর রহমানকে আটক করে আশুলিয়া থানা পুলিশের নিকট তুলে দেন। এ ঘটনায় সেলিমের পিতা আনারুল বাদী হয়ে আটককৃত জেমি ও মোখলেছুর রহমানসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করে আশুলিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী অফিসার এসআই আহাদ আলী জানান, আটককৃতদের এ হত্যা মামলার আসামি দেখানো হয়েছে। প্রকৃত হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

অপরদিকে গ্রামবাসী জানায়, সেলিম ৭ মাস আগে দামুড়হুদা উপজেলার চিতলা উইনয়নের গোবিনহুদা গ্রামের মিরাজুলের মেয়ে রিয়া খাতুনের সাথে বিয়ে করেন। বিয়ের ৫ মাসের মাথায় সেলিম খালাত বোন জেমির সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে গোপনে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে সেলিম ও রিয়ার মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ওই দিন জেমির ডাকে সাড়াদিয়ে আশুলিয়ায় গেলে জেমিসহ তার আগের স্বামী ভাড়াটিয়া গুণ্ডা দিয়ে তাকে পরিকল্পিতভাবে পয়জন খাওয়িয়ে হত্যা করে। হত্যা শেষে মৃত ভেবে লাশ রাস্তায় ফেলতে আসলে জেমি ও মোখলেছ জনতার হাতে আটক হয়।