দেড় মাসের মাথায় আনু গ্রেফতার :পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি

 

দর্শনা আজমপুরের জামাইয়ের হাতে শাশুড়ি তহমিনা হত্যামামলা

 

দর্শনা অফিস: দর্শনা আজমপুরের জামাতার হাতে শাশুরি হত্যামামলার দেড় মাস পেরিয়েছে। টানা দেড় মাসে এ মামলার প্রধান আসামি আতিয়ারকে পুলিশ গ্রেফতার করতে না পারলেও হত্যার পরিকল্পনাকারী আনুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে আনু হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে চাঞ্চল্যকর তথ্যদিয়েছেবলে দাবি করেছে পুলিশ।

জানা গেছে,দর্শনা পৌর শহরের আজমপুর মসজিদপাড়ার আব্দুল কাদেরের মেয়ে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মী জোসনা খাতুনের বিয়ে হয় ফুফাতো ভাই চৌগাছার গোয়াতলি গ্রামের শের আলীর ছেলে আতিয়ার রহমানের সাথে। বছর সাতেক আগে আতিয়ারের সাথে জোসনার বিয়ে হলেও দুজনের মধ্যে মনমালিন্যের কারণের বিয়ের ৪ বছরের মাথায় ঘটে বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা। তবে জোসনার পিচু ছাড়েনি আতিয়ার। বছর তিনেক আগে আতিয়ার তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জোসনাকে অপহরণ করলেও পুলিশ উদ্ধার করেছে। গত ২৬ জুন সন্ধ্যায় আতিয়ার তার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে মাইক্রোবাসযোগে কাদেরের বাড়িতে হানা দেয়। অস্ত্রের মুখে জোর করে জোসনাকে তুলে নেয়ার সময় বাধা দেন তার মা তহমিনা। এ সময় আতিয়ার ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন তহমিনা। এ ঘটনায় আব্দুল কাদের ওই রাতেই আতিয়ার ও আনুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা এবং অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গভীররাতে দামুড়হুদা থানা ও দর্শনা আইসি পুলিশের যৌথ অভিযানে চৌগাছা থেকে জোসনাকে উদ্ধার করা হয়। তবে ওই রাতে পুলিশ হত্যা ও অপহরণ ঘটনার সাথে জড়ি কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। আতিয়ারের খালাতো ভাই বাধেখানপুরের ইসমাইল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ওরফে আনু। এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনুকে গত পরশু শনিবার রাত ২টার দিকে থানার অফিসার ইনচার্জ শিকদার মশিউর রহমানের নির্দেশে দর্শনা আইসি ইনচার্জ এসআই মিজানুর রহমান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে আনুর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করেছেন।মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিজানুর রহমান বলেছেন, তহমিনা হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী আনুকে গ্রেফতারের পর করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। গতকাল রোববার বিকেলে আনুর স্বীকারোক্তি চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট তৈয়বুর রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় রেকর্ড করা হয়েছে। আনুর স্বীকারোক্তিতে সে তহমিনা হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে দিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা মামলার তদন্তের স্বার্থে গোপন রাখা হচ্ছে।