দেশে ৪ হাজারেরও বেশি এইচআইভি রোগী

জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

 

স্টাফ রিপোর্টার: দেশে বর্তমানে ৪ হাজার ১৪৩ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এরমধ্যে এ পর্যন্ত ৬৫৮ জন মারা গেছে বলেও জানান তিনি। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান তিনি।
মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশে চিকিৎসা সেবা ও এইচআইভি শনাক্তকরণ কার্যক্রম সরকারি ১২টি হাসপাতালের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে, যার মধ্যে ৪টি সরকারি হাসপাতাল থেকে এইডস আক্রান্ত রোগীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

এশিয়ার সবকটি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে: জাসদের সদস্য একেএম রেজাউল করিম তানসেনের প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ নাসিম জানান, বিশ্বে এ পর্যন্ত মোট ৮৮টি দেশে জিকা ভাইরাস আছে বলে প্রমাণিত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশসহ এশিয়ার সবকটি দেশই জিকা ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। তবে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ মুক্ত রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

মন্ত্রী জানান, সম্প্রতি মধ্য আমেরিকা, আফ্রিকা, ইউরোপ এবং বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী এশিয়ান দেশ সিঙ্গাপুরসহ অন্যান্য দেশে ক্রমবর্ধমানভাবে জিকা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ না থাকলেও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় এবং এদেশে এডিস মশার অস্তিত্ব থাকায় বাংলাদেশেও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধি ২০০৫ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মুহাম্মদ মিজানুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুরে বসবাসরত এ পর্যন্ত ১৯ বাংলাদেশির শরীরে জিকা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বর্তমানে তারা সিঙ্গাপুরস্থ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে স্ব স্ব কর্মস্থলে কাজ করছে বলেও জানা গেছে। দেশে কোনো অবস্থাতেই যাতে জিকা ভাইরাস সংক্রান্ত ব্যক্তি প্রবেশ করতে না পারে সে লক্ষ্যে স্থল, নৌ ও বিমান বন্দরে জিকা ভাইরাস শনাক্তকরণের জন্য সার্ভিলেন্স জোরদারকরণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।