দেশে গেলে আমাকে মেরে ফেলবে

স্টাফ রিপোর্টার: প্লিজ আমাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠাবেন না। ভারতেই আমাকে শাস্তি দিন। এখানকারজেলেই আমি নিরাপদ থাকবো। বাংলাদেশে ফেরত পাঠালে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।বিধাননগর কমিশনারেটের তদন্তকারী এটিএস অফিসারদের জেরায় এমনই জানিয়েছেনসেভেন মার্ডারেরমূল অভিযুক্ত নারায়ণগঞ্জের নূর হোসেন।গতকয়েকদিন ধরে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে কোলকাতায় গ্রেফতার নূর এবং তার দুসহযোগীকে। জানার চেষ্টা হচ্ছে হুন্ডিতে নিয়ে আসা দু কোটি টাকা কোথায়রাখা আছে। কার আশ্রয়ে তিনি কোলকাতায় ছিলেন। কোলকাতাসহ আশপাশের এলাকায় নূরকে নিয়েতল্লাশি চলে। তখনই অযাচিতভাবে নূর হোসেন জানান, বাংলাদেশে ফেরানোহলে তাকে মেরে ফেলা হবে। তাই তাকে কোলকাতায় শাস্তি দেয়া হোক। প্রয়োজনেশাস্তি দিয়ে ভারতের জেলে রাখা হোক। এদিন জেরায় নূর বারে বারে বলেছেন, সেভেনমার্ডারে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের মেয়র প্যানেলের সদস্য নজরুলইসলামের স্ত্রীকে প্রভাবিত করে তার বিরুদ্ধে মামলা করানো হয়েছে।ওরা কারা?সেভেনমার্ডার বিধাননগর কমিশনারেটের তদন্তের বিষয় নয়, নূরকে একথা একাধিকবার বলাহয়েছে। তবু কেনো বার বার নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডারের বিষয়টি উত্থাপন করছেননূর?ওরা কারা?এর জবাবে বিধাননগর কমিশনারেটের অ্যান্টি টেররিস্ট সেলেরদায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার অনিশ সরকার জানিয়েছেন, বিষয়টি নূর বারবার তুলছেন। এর কারণ হতে পারে তিনি হয়তো প্রাণনাশের আশঙ্কা করছেন। তদন্তকারীঅফিসাররা জানিয়েছেন, ওরা কারা? জিজ্ঞেস করলেই থমকে যাচ্ছেন নূর। আর কিছুইবলছেন না। শুধু বলছে, ওরা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর প্রভাবশালী। ওদের হাতে অনেকক্ষমতা। ওরাই আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমার কোনো দোষ নেই।

বিরাটিতে রয়েছে নূরের সঙ্গী: নূরকেনিয়ে কোলকাতার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি এবং জেরায় জানা গেছে, তার দু সঙ্গীকোলকাতায় রয়েছে। এরা সেভেন মার্ডার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। তাদের একজনরয়েছে কৈখালির কাছাকাছি বিরাটিতে। আরেকজনের হদিস এখনো মেলেনি। তদন্তেরস্বার্থে বিরাটিতে অবস্থানরত ওই ব্যক্তির নাম এখনই বলতে রাজি নয় তদন্তকারীঅফিসাররা। তবে এটুকু জানিয়েছে, নূরের সাথেই এরা পশ্চিমবঙ্গে এসেছিলো। গতকালবুধবারসন্ধে পর্যন্ত কোলকাতার বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসে নূর হোসেনের গ্রেফতারের খবরপশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে সরকারিভাবে এসে পৌঁছায়নি। বিধাননগর কমিশনারেটেরতরফে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিষয়টি জানতে চাইলে তারা জানাবেন।রাজ্য সরকারের মাধ্যমে বিষয়টি ভারত সরকারকে জানানো হবে। তাদের মাধ্যমেপ্রয়োজনে বিষয়টি জেনে নিতে পারবে ইন্টারপোল। আগামী সপ্তাহে নারায়ণগঞ্জপুলিশের একটি দল নূর হোসেনকে শনাক্ত করতে কোলকাতায় আসছে। তারা নূরের সাথেকথা বলবেন। তারপর শুরু হবে নূর এবং তার দু সঙ্গীকে বাংলাদেশে ফেরানোরআলোচনা। নূরের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাসংস্থাগুলোও।