দেশের অনেক স্থানে ঈদুল আজহা আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদ দেখার ওপর ভিত্তি করে দেশে জাতীয় পর্যায়ে ঈদ উদযাপনের ২ দিন আগে আজ শনিবার নোয়াখালী, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরের বেশ কিছু এলাকায় মির্জাখিল দরবারসহ কয়েকজন পীরের অনুসারীরা ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। সৌদি আরবের সাথে ঈদ উদযাপনে সঙ্গতি রক্ষা করছে নোয়াখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের বেশ কিছু পরিবার।

আগাম ঈদ পালনকারীরা জানায়, তারা চট্রগ্রামের সাতকানিয়ার মির্জাখিল দরবার শরিফ (চাঁদ টুপি) পীর সাহেবের অনুসারী হয়ে ২শ বছর ধরে এভাবে আগাম ঈদ পালন করে আসছেন। বেগমগঞ্জের জীরতলী ইউনিয়নের ফাজিলপুর গ্রামের আজিজুল হক ভক্ত বলেন, জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে গ্রামের মানুষ ঈদ করে আসছে। পার্শ্ববর্তী গোপালপুর ইউনিয়নের বসন্তের বাগ গ্রামের মুন্সিবাড়ির দরজায় শনিবার সকাল ১০টায় তারা ঈদের নামাজ আদায় করবেন। এভাবে আশপাশের বহু গ্রামে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদ হয় বলে জানান তিনি।

অগ্রিম ঈদ পালন করার ব্যাপারে প্রচলিত ধারণা হচ্ছে, অবিভক্ত নোয়াখালীর রসিদপুর গ্রামে মাওলানা আবদুল হামিদ ১৯২৫ সালে মতো প্রচার করেন- হানাফি, মালেকি, হাম্বলি মাজহাব মতামতের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্বের সকল দেশে একই দিনে ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, রমজান, শবেবরাত, শবে মেরাজ ও শবে কদর পালিত হয়ে আসছে।

অপরদিকে কারো কারো মতে, লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার কালাকোপ গ্রামের পীর সাহেব মাওলানা আবদুল কাইয়ুমের আদেশ অনুসারে ভক্তরা দীর্ঘদিন ধরে আরব বিশ্বের সময়ানুযায়ী ঈদ পালন করে আসছেন। চাঁদপুরের হাজিগঞ্জের সাদ্রা দরবার শরিফের প্রয়াত পীর মুফতি ইসহাক চৌধুরী ১৯২৮ সালে সর্বপ্রথম তার ভক্তদের নিয়ে আগাম রোজা ও ঈদসহ সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন শুরু করেন। তার মৃত্যুর পর তার ৬ ছেলে এ নীতি অনুসরণ করে যাচ্ছেন। এ অনুসারীদের প্রধান ঈদ জামাত হবে সাদ্রা গ্রামে।