আলমডাঙ্গার জামজামিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় চাঁদাবাজক্রের অপতৎপরতা বৃদ্ধি
জামজামি প্রতিনিধ:আলমডাঙ্গা জামজামি ও পার্শ্ববর্তী এলাকার অস্ত্রধারী চাঁদাবাজচক্র ফের বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। চাঁদা চেয়ে না পেয়ে চাঁদাবাজচক্র চরপাড়া গ্রামের নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী ওয়াজেদ আলীর বাড়িতে দুটি বোমা নিক্ষেপ করেছে। বোমা দুটি বিস্ফোরিত হলে গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত গ্রামবাসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বোমাঘাতে হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার মধ্যরাতে।
জানাগেছে,চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার জামজামিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় সম্প্রতি গজে ওঠা সন্ত্রাসী গ্যাং চাঁদাবাজিতে মেতে উঠেছে। তারা একের পর এক ব্যক্তির নিকট মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে খুনের হুমকি দিচ্ছে। চরপাড়া গ্রামে মৃত আতর আলী মণ্ডলের ছেলে জামজামি ইউনিয়ন সরকারি নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী ওয়াজেদ আলীর নিকট চাঁদা দাবি করা হয়। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গতপরশু তার বাড়িতেবোমা নিক্ষেপ করে চাঁদাবাজচক্র।
পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েকদিন ধরে মোবাইলফোনেদু লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সন্ত্রাসীরা। মধ্যরাত দেড়টার দিকে ৬/৭ জনের একদল অস্ত্রধারী বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ঘরের পেছনের জানালায় ধাক্কা মারে। কাজী সাহেব বলে ডাকতে থাকে। সাড়া না পেয়ে ১টি বোমা ছুঁড়ে মারলে বিকট শব্দে বোমাটি জানালায় বিস্ফোরিত হয়। এরপর সন্ত্রাসীরা ঘরের দরজায় ধাক্কা মারে। এক পর্যায়ে জানানো হয়, কাজী সাহেব বাড়িতে নেই। এ কথা শুনে হামলাকারীরা আরো একটি বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার শব্দে গ্রামবাসীর ঘুম ভাঙে। এক পর্যায়ে তারা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। হামলাকারীরা সটকে পড়ে। খবর পেয়ে জামজামি ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি হামলাকারীদের ধরতে অভিযান শুরু করে। তবে গতকাল শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পুলিত তেমন কাওকে ধরতে পারেনি। গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য,৫ দিন আগে জামজামি ইউনিয়নের টেকপাড়া পাঁচলিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ শ্রমিককে অপহরণের অপচেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। তারা চাঁদা চেয়ে না পেয়ে অপহরণের চেষ্টা চালায়। প্রতিরোধের মুখে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার সাথে জড়িতদের তেমন কাউকেও ধরতে পারেনি পুলিশ।