দু দিনের মধ্যে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে বাঁধ না সরালে জেল-জরিমানা

আলমডাঙ্গা ইউএনওর নেতৃত্বে নদীতে অবৈধ বাধ ও কমর উচ্ছেদ অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে গতকাল সোমবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী মাথাভাঙ্গা নদীর নতিডাঙ্গা গ্রাম থেকে ৬-৭টি কোমর উচ্ছেদ করা হয়েছে। আগামী ১৩ ও ১৪ মে’র মধ্যে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বাঁধ ও কোমর সরিয়ে না নিলে মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা।

জানা গেছে, গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর পর্যন্ত একটানা অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গার বাড়াদী ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা নদী থেকে অবৈধ কোমর ও বাঁধ তুলে দেয়া হয়েছে। নতিডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গার ৬-৭টি কোমর তুলে দেয়া হয়। আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম অবৈধ কোমর বাঁধ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুর ছাত্তার, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের এসআই জিয়াউল হকসহ সঙ্গীয় ফোর্স। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাথাভাঙ্গার নদীর অবৈধ কোমর ও বাঁধ মালিকদের চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ১৩ ও ১৪ মে’র(মঙ্গলবার ও বুধবার) মধ্যে কোমর ও বাঁধ মালিকেরা নিজ উদ্যোগে কোমর ও বাঁধ সরিয়ে না নিলে আগামী ১৫ মে বৃহস্পতিবার মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে জেল ও জরিমানা করা হবে। মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর বাঁধ সরিয়ে নেয়ার জন্য গতকাল সোমবার বিভিন্ন এলাকায় মাইকে ব্যাপক প্রচার করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, আলমডাঙ্গার শিয়ালমারী, বটিয়াপাড়া, কান্তপুর, খুদিয়াখালী, কৃষ্ণপুর, গোয়ালবাড়ি, নতিডাঙ্গা, জুগিরহুদা, আঠারখাদা, অনুপনগরসহ হাটবোয়ালিয়া এলাকার মাথাভাঙ্গা নদীতে রয়েছে হাজারো অবৈধ কোমর বাঁধ। এসব অবৈধ বাঁধের কারণে নদীর স্রোত বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছে। নদীর পানির নিচে পলি জমে ভরাট হচ্ছে নদী। এভাবে আর কয়েক বছর নদীতে কোমর দিলে নদী ভরাট হয়ে শুকিয়ে যাবে বলে এলাকাবাসী আশঙ্কা করছে।