দু দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষ : আহত ৯ জন

আলমডাঙ্গার হারদীতে সিগারেটের আগুন চাওয়া জের

 

আলমডাঙ্গা ব্যরো: আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামে সিগারেটের আগুন চাওয়ার জের ধরে দু দল গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সকালে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৯-১০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কয়েকজনকে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে রেফার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে একজন ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জানা গেছে, গতকয়েক দিন আগে রাতের বেলা আলমডাঙ্গা হারদী কৃষিক্লাবের নিকট সিগারেটের আগুন চাওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েকজন যুবকের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে একই গ্রামের ভিকুর ছেলে সামাদ (২০), আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মিনারুল (৩০), সাদ আলী মল্লিকের ছেলে আলী চান্দ (৫০) ও আতিয়ারের ছেলে নাজমুলসহ কয়েকজন মিলে ওই রাতেই খালপাড়ার আঃ আলিমের ছেলে নাজমুল (২২), দানিল মল্লিকের ছেলে মিসকার ও সারা মল্লিকের ছেলে সালামকে মেরে আহত করে। আহতদের উদ্ধার করে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে। পরে সারা মল্লিক আলমডাঙ্গা থানায় বাদী হয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই ঘটনার জের ধরে গতকাল তাদের পরিবারের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে শুরু হয় ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও পরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে একপক্ষের খালপাড়ার মৃত সাদ আলী মল্লিকের ছেলে ছেলে আলী চাদ (৫০), আলী চাঁদের স্ত্রী সাহেরা খাতুন (৪০), চান মিয়ার ছেলে রব্বানি (২৫), আতিয়ারের মেয়ে উর্মিতাকে (১৮) মেরে রক্তাক্ত জখম করে। এদের মধ্যে আলী চাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আলী চাদের মাথা ও পিটিয়ে করা জখম হয়। অপরপক্ষ একইপাড়ার মৃত আবুল মল্লিকের ছেলে সারা মল্লিক (৫০), আ. আলিমের ছেলে নাজমুল (২২), দানিলের ছেলে মিসকার (২৩), সারা মল্লিকের ছেলে সালাম ও স্ত্রী লাল ভানু ও রক্তাক্ত জখম হয়। সারা মল্লিকের এক হাত জখম হলে তাকে হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স থেকে কুষ্টিয়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। গ্রামে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে থানা ও ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। আহতদের কয়েকজনকে স্থানীয় হারদী স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং অন্যদের কয়েকজনকে কুষ্টিয়া ও রাজশাহীতে রেফার করা হয়।