দুষ্কৃতীরা সাবধান! সিসি ক্যামেরার আওতায় চুয়াডাঙ্গা শহর

 

পৌরসভা ও পুলিশের যৌথ উদ্যোগ : আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি

স্টাফ রিপোর্টার: অপরাধ করে পালিয়ে পার পাওয়া? চুয়ডাঙ্গা জেলা শহরে আর নয়। দুষ্কৃতীরা সাবধান! কেননা, চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান মনির বিপিএম।

চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মধ্যদিয়ে এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। সিসি ক্যামেরা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ডিআইজি এসএম মনির-উজ-জামান মনির বলেন, চুয়াডাঙ্গায় কোনো অপরাধী আর তার অপরাধ আড়াল করতে পারবে না। জেলা শহরে যদি কেউ প্রবেশ করেন তার রেকর্ড অবশ্যই আমরা করবো। কোনো অপরাধী সিসি ক্যামেরার আওতা থেকে গোপন বা আড়াল করার কোনো সুযোগ থাকবে না। অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। তিনি জানান, আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান জানান, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার সহযোগিতায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলা শহরকে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হলো। পৌর শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, সার্বিক নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা খুবই জরুরি। কিন্তু এ খাতে প্রয়োজনীয় অর্থ পুলিশের নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষ সহযোগিতার হাত বাড়ালে গোটা শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।

পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান জানান, জন অংশগ্রহণে প্রাথমিকভাবে আটটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই আটটি ক্যামেরা দিয়ে শহরের এক চতুর্থাংশ এলাকা পুলিশের নজরদারির আওতায় এসে গেছে। পুলিশের নিয়ন্ত্রণকক্ষ থেকে সিসি ক্যামেরার কার্যক্রম মনিটরিং করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে পৌর এলাকার সব গুরুত্বপূর্ণ স্থানই সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে।

উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু, জামান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আসাদুজ্জামান এবং চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।