দুর্ঘটনা : আহতদের মধ্যে আরো একজনের মৃত্যু

 

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের নিয়ন্ত্রণহীন বাস ভালাইপুর মোড়ের মাছবাজারে

 

স্টাফ রিপোর্টার: নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসের ধাক্কায় নিহতের সংখ্যা দুজনে দাঁড়িয়েছে। ঘটনার পরপরই প্রাণ হারান মাছবিক্রেতা গঙ্গা, আর গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন মাছ ক্রেতা ইছাহক (৬০)। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

জানা গেছে, গতপরশু সন্ধ্যা মেহেরপুর থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হওয়া লোকাল বাস শিশির পরিবহন গোকুলখালী পৌঁছুনোর পর নিয়ন্ত্রণ হারায়। চালক বাসটি না থামিয়ে এলোমেলো অবস্থায় চলাতে থাকেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, ভালাইপুর মোড়ে পৌঁছে বাসটি রাস্তার পাশের মাছ বাজারে উঠে পড়ে। বাস চালকসহ আহত হয় কমপক্ষে ১৯ জন। চালক ছাড়া আহতদের সকলেই হাটের ক্রেতা ও বিক্রেতা। তাদেরকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। মাছ বিক্রেতা কালিয়াবকরির গঙ্গা হালদার মারা যান। আহতদের ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ১৫ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। এদের মধ্যে ইছাহক আলী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মারা যান। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের আলুকদিয়া হুচুকপাড়ার মোহাম্মদ মণ্ডলের ছেলে। গতকাল তার বাড়িতে লাশ নেয়া হলে নিকটাত্মীয় স্বজনের আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। গতকালই দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেছেন, নিয়ন্ত্রণ হারানো বাসটির ধাক্কায় মসজিদের প্লার ভেঙে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় ঝুলছে। দুর্ঘটনাস্থলে গতকাল বাদ আছর মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মিলাদ মাহফিলে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, জেলা যুবলীগ যুগ্মআহ্বায়ক আসাদুজ্জামান কবীর, আলমডাঙ্গা উপজেলা ত্রাণবিষয়ক সম্পাদক আমির হোসেন, আলুকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ আহ্বায়ক সোহেল রানা শান্তিসহ স্থানীদের মধ্যে খাইরুল ইসরাম কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।