দুর্ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা কারারক্ষি সাইদুর নিহত

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় সড়ক দুর্ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের কারারক্ষি জিএম সাইদুর রহমান (৩৬) নিহত হয়েছেন। নিহত সাইদুর সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার খোদর্দউলুডাঙ্গা গ্রামের এবাদুল্লাহর ছেলে। গতকাল বুধবার বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়কের পুড়াপাড়া-কোষাঘাটার মাঝামাঝি লাভলু মিয়ার ইটভাটার অদুরে মোটরসাইকেলdamurhuda-pic-09-11-1-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক সাইদুর পিচরোডে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধারসহ ঘাতক ড্রাইভারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের কারারক্ষি সাইদুর রহমান গতকাল বুধবার বিকেলে বাজার করার জন্য লাল রঙের পালসার মোটরসাইকেলযোগে ভিমরুল্লাহ থেকে দামুড়হুদার উদ্দেশে রওনা হন। বিকেল ৫টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-যশোর আঞ্চলিক মহাসড়কের পুড়াপাড়া-কোষাঘাটার মাঝামাঝি হাবিবুর রহমান লাভলু মিয়ার বিল্ড নামক ইটভাটার অদুরে পৌঁছুলে বিপরীত দিক থেকে আসা-শাদা রঙের মাইক্রোবাসের (ঢাকা মেট্রো-গ-১১-৭৭৪৯) সামনের দিকের ডানসাইডের চাকা পাঙচার হয়ে গেলে ড্রাইভার গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারির্য়ে মোটরসাইকেলে সজোরে ধাক্কা মারে। মাইক্রোর ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক সাইদুর পিচরোডে ছিটকে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ সময় পথচারী স্থানীয় লোকজন ঘাতক মাইক্রো ড্রাইভারকে ধরে গণধোলায় দিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং পথচারীদের হাতে আটক ঘাতক মাইক্রো ড্রাইভার চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের জাফরপুরের রহিম মণ্ডলের ছেলে ফিরোজকে থানায় নিয়ে আসে। বর্তমানে তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। পুলিশ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাজমা খাতুন বাদী হয়ে দামুড়হুদা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নাজির হামিদুল ইসলাম জানান, আমার চোখের সামনেই মুহূর্তের মধ্যে ঘটনাটি ঘটে গেলো। মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল চালক প্রায় ১০ হাত দুরে পিচরোডে ছিটকে পড়ে। সাথে সাথে তার মুখমণ্ডলসহ সারাদেহ রক্তে লাল হয়ে যায়। আমি মোটরসাইকেল থেকে নেমে তার কাছে গিয়ে দেখি সে বেঁচে আছে। আমি তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার জন্য পথচলতি বেশকয়েকটি করিমন/আলমসাধুর ড্রাইভারকে অনুরোধ করলাম। কিন্ত দুঃখের বিষয় কেউ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে রাজি হলো না। এর পরপরই সে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লো। মনে মনে বললাম হায়রে মানুষ?