দীর্ঘ ২০ মাস ১১ দিন পর চুয়াডাঙ্গা-যশোর রুটে স্বাভাবিক হলো সরাসরি বাস চলাচল : কমলো যাত্রী দুর্ভোগ

জীবননগর ব্যুরো: অবশেষে দীর্ঘ ২০ মাস ১১ দিন পর চুয়াডাঙ্গা ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিবহন মালিক সমিতির সাথে চুয়াডাঙ্গা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির দ্বন্দ্বের অবসান ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কালীগঞ্জে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে উভয় জেলার মালিক সমিতির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উভয় সমিতি তাদের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটিয়ে সরাসরি বাস চালনার পক্ষে মত দিলে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল হতেই এ সড়কে সরাসরি বাস চলাচল শুরু করলে যাত্রীদের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। সুষ্ঠু এ সমাধানে মধ্যস্থতা করার জন্য হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার এবং জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ৩ জুন থেকে টানা ২০ মাস ১১ দিন মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, যশোর ও খুলনা জেলার যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিলো।

বাসমালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা হঠাত করে চুয়াডাঙ্গা মালিক সমিতির একটি বাস এ রুটে চলাচল বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে উভয় মালিক সমিতির মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। ফলে ২০১২ সালের ৩ জুন থেকে কালীগঞ্জ ও চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক সমিতি নিজ জেলা সীমানা জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বাজার পর্যন্ত বাস চালানো শুরু করে এবং কালীগঞ্জ ও যশোর মালিক সমিতির বাস চুয়াডাঙ্গায় প্রবেশ করতে বাধা সৃষ্টি করে। এ কারণে কালীগঞ্জ ও যশোরের বাসগুলো জীবননগর উপজেলার শেষ সীমানা হাসাদহ বাজার পর্যন্ত চলাচল করতে থাকে।

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের এক গুয়েমির কারণে দীর্ঘ দিন ধরে এ অবস্থা বিরাজ করায় এ রুটে চলাচলকারী যাত্রীদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হয়। দফায় দফায় উভয় সমিতিকে নিয়ে বৈঠক করলেও কোনো সুরহা হয়নি। অবশেষে হুইপ সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগার টগর, ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার ও জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজাসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ এগিয়ে এসে গতকাল এ সমস্যার সুষ্ঠু সমাধান করতে সক্ষম হন।