দীপাবলী উত্সব আজ

 

স্টাফ রিপোর্টার: শিশির ঝরা হেমন্তের ঘনঘোর অমাবশ্যা তিথিতে দীপাবলির আলোকে আজ উদ্ভাসিত হয়ে উঠবে চারদিক। সনাতন ধর্মমতে, এ মাহেন্দ্রলগ্নে আবির্ভাব ঘটবে মঙ্গলময়ী জননী কালী দেবীর। আজ বৃহস্পতিবার মহা দীপাবলি উত্সব ও শ্যামাপূজা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করবে দীপাবলি উত্সব।

ন্যায়ের জয় আর পারলৌকিক আঁধার সরিয়ে ফেলার কামনায় নৈবেদ্য দিবে কালীমাতার পাদপদ্মে। মঙ্গল শিখায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে মঙ্গল দীপ। নিশি উপবাসের পর অন্নকুট মহোত্সব আর সন্ধ্যা আরতি দেয়া হবে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকামতে, সন্ধ্যায় দীপাবলি ও মঙ্গল শিখা প্রজ্বলন এবং দিবাগত রাতে শ্যামা পূজা। আগামীকাল শুক্রবার ভাইফোঁটা ও অতিথি আপ্যায়ন, আরতি। শনিবার কালী বিসর্জন। কেবল সনাতন ধর্মাবলম্বীরাই নয়,   শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরাও সহস্র  প্রদীপ জ্বালিয়ে শুভ  দীপাবলি উত্সব উদযাপন করবেন।

বাংলায় দীপাবলি, হিন্দিতে দিওয়ালি-যার অর্থ প্রদীপের সারি। দীপাবলির আলোয় দূর হয় সকল অশুভ শক্তি, ঘটে শুভ শক্তির আর্বিভাব। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মশাস্ত্র মতে, মা কালী হচ্ছেন অগ্নির সপ্তম জিহ্বা আর অগ্নি হচ্ছেন স্বয়ং ঈশ্বর; যা মা কালী বা শ্যামা নামে ভক্তদের কাছে উপস্থিত হয়। মাতৃ আরাধনার আরেক রূপ হচ্ছে শ্যমা পূজা। দীপাবলি হচ্ছে এ পূজার অন্যতম আর্কষণ। অন্ধকার বিনাশের প্রত্যাশায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এই দিন ঘরে ও মন্দিরে প্রদীপ প্রজ্বলন করেন। এ প্রদীপের আলো যতোদূর পর্যন্ত যায়, ততোদূর পর্যন্ত কোনো অশুভ শক্তি আসতে পারে না।

কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সব অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়ের মধ্যেই রয়েছে কালীপূজার মাহাত্ম্য। কালীদেবী তার ভক্তদের কাছে শ্যামা, আদ্য মা, তারা মা, চামুণ্ডি, ভদ্রকালী, দেবী মহামায়াসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।