দিনদুপুরে পুলিশ হত্যা করে ৩ জঙ্গি ছিনতাই

এক পুলিশ বরখাস্ত : ৬ ঘণ্টার মধ্যে ১ জঙ্গি পাকড়াও : অপর দুজনকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা

 

স্টাফ রিপোর্টার: ময়মনসিংহের ত্রিশালে গতকাল রোববার সকালে প্রকাশ্যে প্রিজনভ্যানে গুলি চালিয়ে ও বোমা মেরে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়েছে সহযোগী জঙ্গিরা। সামনে পেছনে দুটি মাইক্রোবাস ঠেকিয়ে প্রিজনভ্যানে মুহুর্মুহু গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিরা। এ সময় বেশ কয়েকটি বোমারও বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। কয়েক মিনিটের মধ্যে অপারেশন শেষ করে চলে যায় তারা। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য নিহত হন। আহত হন একজন এসআই দু পুলিশ। তারা প্রিজনভ্যানে ছিলেন। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ছিনিয়ে নেয়া তিনজনই নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। এদের দুজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এবং অপরজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে।

পুলিশ বলছে, এদের সহযোগী জঙ্গিরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিদের ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে তিনজন। এদের একজন ছিনিয়ে নেয়া জঙ্গি নেতা। অপর দুজনকে ধরতে ৱ্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযান চলছে। দেশের সবগুলো কারাগারে জারি করা হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এ ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যায় গাজীপুর পুলিশের এক পরিদর্শককে প্রত্যাহার ও এক ফোর্স সুবেদারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার মো. আব্দুল বাতেন জানান, দায়িত্বে অবহেলার জন্য গাজীপুর পুলিশ লাইনের সংরক্ষিত পুলিশ পরিদর্শক (আরআই) সাইদুল করিমকে প্রত্যাহার এবং ফোর্স সুবেদার আব্দুল কাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পুলিশ হত্যা করে ছিনিয়ে নেয়া তিন জঙ্গির প্রত্যেকের জন্য দু লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করেছে পুলিশ বিভাগ। যদিও ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই একজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজিম উদ্দিন চৌধুরীকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। ডিআইজি (ঢাকা রেঞ্জ) এসএম মাহাফুজুল হক নূরুজ্জামান, ডিআইজি প্রিজন (সদর দপ্তর) টিপু সুলতান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (জেল-১) সালমা বেগম এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে আছেন। উপসচিব সালমা বেগম বলেন, কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।

ফিল্মি স্টাইলে আসামি ছিনতাই: গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক আবদুর রাজ্জাক জানান, কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগার থেকে রাকিব হাসান, কারাগারের পার্ট-১ থেকে সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীন ও কারাগারের পার্ট-২ থেকে বোমা মিজানকে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবস্থায় সকাল আটটার দিকে ময়মনসিংহের আদালতে হাজির করার জন্য প্রিজনভ্যানে তোলা হয়। তারা তিনজনই জঙ্গি সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলার আসামি। তাদের মধ্যে সালাউদ্দিন ও রাকিব মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও মিজান যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত। ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, এ তিন দণ্ডপ্রাপ্ত রাকিব, সালাউদ্দিন ও মিজানকে বহনকারী প্রিজনভ্যানটি ময়মনসিংহের দিকে যাচ্ছিলো। পথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ত্রিশালের সাইনবোর্ড এলাকায় প্রিজনভ্যানটি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে জঙ্গিদের সহযোগীরা। তারা তিনজনকেই ছিনিয়ে নেয়। এ সময় এসআই হাবিব, কনস্টেবল আতিক ও সোহেল এবং প্রিজনভ্যানের চালক সবুজ গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে পুলিশ কনস্টেবল আতিক মারা যান। নিহত আতিক (৩৫) গাজীপুর পুলিশ লাইনের কনস্টেবল ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় আমীরাবাড়ী ইউপি সদস্য শাহজাহান বলেন, বেলা সোয়া ১০টার দিকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে ত্রিশালের দিকে যাচ্ছিলাম। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের সাইনবোর্ড এলাকায় বিকট শব্দ শুনতে পাই। তাকিয়ে দেখি একটি পুলিশের গাড়িকে সামনে ও পেছন দিয়ে ঘিরে ফেলেছে দুটি গাড়ি। গাড়ি থেকে নেমে ১০/১৫ জন কালো মুখোশধারী লোক পিস্তল দিয়ে গুলি করছে। আমি বিষয়টি দ্রুত ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফিরোজ তালুকদারকে জানাই। তিনি (ওসি) আমাকে ঘটনাস্থলে যেতে বলেন। আমি কাছে যাওয়ার আগেই পুলিশকে গুলি করে তিন জঙ্গিকেই ছিনিয়ে নিয়ে যায় মুখোশধারীরা। সামনের গাড়িটি শাদা ও পেছনের গাড়ি কালো রঙের। আসামিদের নিয়ে গাড়ি দুটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তারা উত্তরের দিকে চলে যায়। আহত পুলিশদের আমি একটি গাড়িতে তুলে দিই। জঙ্গিরা দুটি বোমা নিক্ষেপ ও অসংখ্য গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ সদস্যদের দুটি বন্দুক আমি রাস্তা থেকে কুড়িয়ে নিয়ে আসি।

প্রিজনভ্যানের চালক সবুজ মিয়া বলেন, প্রথমে আমার গাড়িটির সামনে একটি ট্রাক আটকে দেয়। ঠিক সে সময় একটি শাদা মাইক্রোবাস সামনে এসে গুলি শুরু করে। আমি গাড়িতে নুয়ে পড়ি এবং তারা গুলি করে ও বোমা ফাটিয়ে আসামিদের নিয়ে যায়। চোখের পলকে তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে চলে যায়। স্থানীয় কৃষক আবদুল হক বলেন, কয়েকটি বিকট শব্দ শুনলাম। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে এসব দেখে প্রথমে ভেবেছিলাম কোনো গাড়ি অ্যাকসিডেন্ট করেছে। কিন্তু গাড়ি অ্যাকসিডেন্টে তো বারবার শব্দ হবে না। জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই। তবে কোথায় হচ্ছে তা বুঝতে পারিনি। পরে দেখি এ ঘটনা ঘটছে। বেলা পৌনে ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, পুলিশের দুটি বন্দুক পড়ে আছে। একটি বন্দুক ভাঙা। টাকশালের টাকা নেয়ার একটি খালি বাক্সও পড়ে আছে। প্রিজনভ্যানটির সামনের কাঁচে দুটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। পেছনের দরজায় পুলিশের রক্তমাখা টুপি। আসামি ছিনতাইয়ের সময় যে তালাটি ভাঙা হয় সেটিও পড়ে আছে। পুলিশ, ৱ্যাব ও ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রাখে।

ছিনতাইকারীরা ছিল জনা তিরিশেক: ময়মনসিংহ মেকিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নিহত পুলিশ সদস্য আতিকের চোখে গুলি লেগেছিলো। এছাড়া এসআই হাবিবের পেটে ও পুলিশ সদস্য সোহেলের পিঠে গুলি লাগে। চিকিত্সকরা জানান, সোহেলের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত হলেও হাবিবের অবস্থা এখনো বলা যাচ্ছে না। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন কনস্টেবল সোহেল। তিনি জানালেন, দুর্বৃত্তরা সংখ্যায় ছিলো ২৫/৩০ জন। প্রথমে একটি দল গাড়ি থেকে নেমে প্রিজনভ্যানটি লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় তারা অন্তত পাঁচ থেকে সাতটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনায়। গুলিতে চালক, তিনি নিজেসহ চারজন আহত হন। এরপর আরেকটি গাড়ি থেকে আরেক দল দুর্বৃত্ত নেমে এসে এসআই হাবিবের কাছে থাকা প্রিজনভ্যানের চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে তারা সেই চাবি দিয়ে প্রিজনভ্যানের তালা খুলে তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যায়।

তিন জনই সাজাপ্রাপ্ত: ছিনিয়ে নেয়া তিন জঙ্গিই সাজাপ্রাপ্ত বলে পুলিশ জানিয়েছে। গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার সূত্র জানায়, সালাউদ্দিন ওরফে সালেহীনের (৩৮) বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকায়। তিনি জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতা। তিনি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) ছাত্র ছিলেন। ২০০৬ সালে তাকে জঙ্গি তত্পরতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চট্টগ্রাম থেকে আটক করা হয়। ২০১০ সালে তিনি কাশিমপুর কারাগারে যান। তার বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা আছে, এর মধ্যে তিনটি মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। বোমা মিজানের বাড়ি (৩৫) জামালপুর সদরের শেখেরভিটা এলাকায়। তার বিরুদ্ধে ১৯টি মামলা আছে। এসব মামলার একটিতে তিনি যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত এবং পাঁচটিতে বিভিন্ন মেয়াদে সাজার দণ্ডপ্রাপ্ত। তিনি ২০১৩ সাল থেকে কাশিমপুর কারাগারে আছেন। আর রাকিব হাসানের (৩৫) বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহের বংশীবেল এলাকায়। তিনি জেএমবি শুরার সদস্য। তার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা আছে। এগুলোর মধ্যে তিনি একটিতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, একটিতে যাবজ্জীবন ও একটিতে তার ১৪ বছরের সাজা হয়েছে।

ছিনিয়ে নেয়া রাকিবসহ তিনজন গ্রেফতার: তিন জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেয়ার ছয় ঘণ্টার মাথায় একজনকে টাঙ্গাইল থেকে আটক করেছে পুলিশ। বাকি দু জঙ্গিসহ পুলিশের গাড়িতে হামলাকারীরা যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য সীমান্তে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। টাঙ্গাইলের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম জানান, গতকাল রোববার বিকেলে মির্জাপুরের তক্তারচালা এলাকায় পায়ে হেঁটে যাওয়ার সময় সন্দেহ হওয়ায় দুজনকে আটক করা হয়। তাদের মধ্যে একজন নিজেকে রায়হান ও অন্যজন রাসেল হিসাবে পরিচয় দেন। পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে দ্বিতীয় জন স্বীকার করেন তিনিই জেএমবি সদস্য রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ (৩৫)। তিনি বলেন, তার গলা, হাতে ও পায়ে ডাণ্ডাবেরির দাগ ছিলো। এর সাথে সদ্য দাড়ি কামানো চেহারা দেখেই আমাদের সন্দেহ হয়। গ্রেফতার হওয়া রায়হানের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায়। তিনিও আসামি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এর আগে টাঙ্গাইলের সখীপুর থেকে জাকারিয়া ওরফে মিলন (২৮) নামে আরেকজনকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি ছিনতাই হওয়া তিন জঙ্গিকে বহনকারী গাড়ির চালক বলে জানিয়েছে পুলিশ। ছিনতাইকারীরা ত্রিশাল থেকে টাঙ্গাইলের সখীপুর দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে- এমন খবর পেয়ে পুলিশ সখীপুর থানার সামনে গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করে; কিন্তু ছিনতাইকারীরা গাড়ি না থামিয়ে সামনে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে ছিনতাইকারীরা ঢাকা-সখীপুর সড়কের প্রশিকা কার্যালয়ের পাশে গাড়ি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকার জামাল নামের এক ব্যক্তি এক ছিনতাইকারীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ওই ছিনতাইকারীর নাম জাকারিয়া (৩০)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার জিনারপুর গ্রামে। সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোখলেছুর রহমান জানান, গাড়ি থেকে একটি রিভলবার ও তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়েছে।

ধরিয়ে দিলে পুরস্কার, তদন্ত কমিটি: তিন জঙ্গিকে ধরিয়ে দিতে ইতোমধ্যে দু লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এসএম মাহাফুজুল হক নূরুজ্জামান বলেন, ছিনতাই হওয়া জেএমবি সদস্যকে ধরিয়ে দিলে প্রত্যেকের জন্য দু লাখ টাকা করে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

স্বজনদের আহাজারিতে ভারী ময়মনসিংহ মেডিকে: ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় ট্রলির ওপর জেএমবির সশস্ত্র ক্যাডারদের গুলিতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল আতিকের নিথর দেহ। পাশেই স্বজনদের আর্তনাদ। আহাজারিতে ভারী সেখানকার বাতাস। গতকাল দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় এ চিত্র। আতিকের বড় ভাই শফিকুল ইসলাম, শ্বশুর আব্দুস সোবহান ও ছোট বোন লিজা আক্তার ছুটে এসেছেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা। আব্দুস সোবহান কারো সাথে কোনো কথা বলছেন না। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বারান্দায় বসে ফুঁপিয়ে কাঁদছেন আর বলে চলেছেন, আমার বাবারে কে নিয়া গেলো? আমার বাবার কী অইলো? আমার বাবারে তোমরা আইন্না দাও।

নিহত পুলিশ কনস্টেবল আতিকুর রহমান ওরফে আতিক গাজীপুর পুলিশের কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। চাকরি নেন প্রায় ৭ বছর আগে। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চুরখাই এলাকার পনঘাগড়া এলাকায়। আতিকের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় ৮ বছর আগে ত্রিশাল উপজেলার রুদ্র গ্রামের আব্দুস সোবহানের মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিনকে (২৮) বিয়ে করেন আতিক। দু পুত্র সন্তানের নাম লাবিব (৬) ও অর্ণব (৫)। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মতিউর রহমান জানান, গুলিবিদ্ধ আতিক ঘটনাস্থলেই মারা যান।