দামুড়হুদা থানা পুলিশের সফল অভিযান : ভেজাল আইসক্রিমসহ মালামাল জব্দ

আটক কারখানার মালিককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা থানা পুলিশ দর্শনা হল্টচাঁদপুরে অভিযান চালিয়ে একটি ভেজাল আইসক্রিম ফ্যাক্টরি আবিষ্কার করেছে। পুলিশ ওই ফ্যাক্টরি থেকে ১০ হাজার পিস ভেজাল আইসক্রিম এবং অন্যান্য মালামাল জব্দসহ ফ্যাক্টরির মালিক ই¯্রাফিল হোসেনকে (৩৫) আটক করে। তিনি দর্শনা কেরুজ হাসপাতালপাড়ার আব্দুল হাই মুুন্সির ছেলে। পরে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফ্যাক্টরির মালিককে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গতকাল রোববার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ওই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
পুলিশ ও ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা কেরুজ হাসপাতালপাড়ার আব্দুল হাই মুন্সির ছেলে ই¯্রাফিল হোসেন মাস চারেক আগে দর্শনা হল্টচাঁদপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে অনুমোদনহীন একটি নকল আইসক্রিম ফ্যাক্টরি গড়ে তোলেন। তিনি ছোট বাচ্চাদের জুস হিসেবে পান করার জন্য পলিথিনের চিকন পাইপে স্যাকারিনসহ অন্যান্য কেমিকেল মিশিয়ে গ্রামীণ চাটনি নাম দিয়ে আইসক্রিম তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি স্বরূপ। বিষয়টি গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পেরে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদের নির্দেশে সেকেন্ড অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন বাবু, এসআই আমজাদ হোসেন, এসআই আব্দুল গফুর, এসআই আব্দুল বাকী, এসআই সুব্রত বিশ্বাস, এএসআই মহিউদ্দীন, এএসআই নজরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ওই অনমোদনহীন নকল আইসক্রিম তৈরির ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ওই আইসক্রিম ফ্যাক্টরির মধ্য থেকে ১০ হাজার পিস নকল আইসক্রিম, বিভিন্ন ধরনের কেমিকেল, এবং আইসক্রিম তৈরির মেশিনসহ অন্যান্য মালামাল জব্দ করেন এবং ফ্যাক্টরির মলিক ই¯্রাফিলকে আটক করেন। বিকেলে জব্দকৃত মালামালসহ তাকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে হাজির করা হলে ফ্যাক্টরির মালিক নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারকের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান ফ্যাক্টরির মালিকের বিরুদ্ধে ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের আদেশ দেন। ফ্যাক্টরির মালিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। জব্দকৃত ভেজাল আইসক্রিমসহ অন্যান্য মালামাল বিনষ্ট করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কাজে সহযোগিতা করেন নাজির হামিদুল ইসলাম ও উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান খাইরুল কবির দিনার।