দামুড়হুদা থানা পুলিশের অভিযান

ভ্রাম্যমাণ আদালতে দুজনকে জরিমানা : ১ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশ দামুড়হুদাকে মাদকমুক্ত করতে মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এরই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার আরও তিনজন মাদকসেবীকে আটক করা হয়েছে। আটক ৩ জনের মধ্যে ২ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। বাকি ১ জনের নামে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযানের ২য় দিনে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের নেতৃত্বে দর্শনা রেলগেটসহ চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা সড়কের বিভিন্নস্থানে মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযান চলাকালীন দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই শ্যামল চন্দ্র সমার্দ্দার দর্শনা রেলগেট থেকে মদ্যপ অবস্থায় দুজনকে এবং কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আসাদ ভুমিহীনপাড়াস্থ ইটভাটার সামনে থেকে গাঁজাসহ একজনকে আটক করেন। বিষয়টি দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানকে জানানো হলে তিনি তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে হাজির হন এবং মদ্যপ অবস্থায় আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। এ ছাড়া গাঁজাসহ আটক উপজেলার পাটাচোরা গ্রামের মৃত আব্দার মল্লিকের ছেলে নূর আলমের (৩৯) নামে মাদক আইনে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। অর্থদ-প্রাপ্তরা হলেন- ঝিনাইদহ জেলার বৈডাঙ্গা গ্রামের শঙ্করকুমার পালের ছেলে নিশিতকুমার পাল (২২) এবং একই গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে জুয়েল রানা (২৩)।
দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন বলেছেন, জেলার পুলিশ সুপারের নির্দেশেই মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে দামুড়হুদা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযান চালিয়ে মোট ১৪ জন মাদকসেবীকে আটক করে। এরমধ্যে ১০ জনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদ- দেয়া হয় এবং বাকি ৪ জনকে প্রাথমিকভাবে সর্তক করে ছেড়ে দেয়া হয়। এ দিকে দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করায় পুলিশ প্রশাসনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের কয়েকজন দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন অন্যান্য দিনের তুলনায় গতকাল মাদক সেবনের জন্য চুয়াডাঙ্গা থেকে দর্শনা অভিমুখে মোটরসাইকেলযোগে অল্প কিছু যুবকদের দর্শনায় যেতে দেখা গেছে। যারা এখনও যাচ্ছে খুব তাড়াতাড়িই পুলিশের হাতে ধরা পড়বে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ বর্তমানে মাদকের সাথে কোনো আপোষ হবে না বলে পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিষ্কারভাবে জানানো হয়েছে।