দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিতদের নাটকীয়তার মধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ

 

 

দামুড়হুদা অফিস: দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাচিত উপজেলা পরিষদের প্রতিনিধিরা অনেক নাটকীয় ঘটনার মধ্যদিয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। গতকাল বুধবার বিকেল পৌঁনে ৪টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তারা দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। গত ১৫ মার্চ তৃতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যন পদে জামায়াতের দর্শনা পৌর আমির আব্দুল কাদের এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিএনপির সালমা জাহান পারুল নির্বাচিত হন। গত ১৭ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে তারা শপথ গ্রহণ করেন। গতকাল বুধবার বিকেলে অনুষ্ঠিত অভিষেকসভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমানের স্বাগত বক্তব্যের পর আরো বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা জাহান পারুল, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের ও উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান। অনুষ্ঠিতসভায় নবনির্বাচিত পরিষদকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ। বিরোধীদলীয় নবনির্বাচিত এ প্রতিনিধিদের বেলা ১১টায় দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতার স্বাক্ষরিত চিঠি দিয়ে এসকল প্রতিনিধিদের জানানো হলেও পরে মোবাইলফোনে জানানো হয় বেলা ১২টার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হবে। কিন্তু বিদায়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদের আপত্তির কারণে মিলেমিশে একত্রে বসে দায়িত্ব হস্তান্তর সম্ভব হয়নি। তদুপরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে অপেক্ষেয়মান নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের আবার জানানো হয় বেলা ৩টার দিকে পৃথক অনুষ্ঠান হবে। নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ কথা জানালে তারা বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হয়। এরপরে আবারও সময় পরিবর্তন করে সাড়ে ৩টার দিকে বিদায়ী চেয়ারম্যানের উপজেলা ক্যাম্পাস ত্যাগ করার পর পৌঁনে ৪টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিদায়ী চেয়ারম্যানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পক্ষ থেকে একাধিক ব্যানার তৈরি করা হলেও নবাগত অনুষ্ঠানে ছিলোনা কোনো ব্যানার। দুপুরের খাবার ও অন্যান্য খরচ বাবদ নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মোটা অঙ্কের টাকার চাঁদা ধরা হলেও তাদের খেতে ডাকা হয় বেলা আড়াইটায়, ততোক্ষণে তারা হোটেলে খেয়ে নিতে বাধ্য হয়। অনুষ্ঠানে নির্দিষ্ট ৩ জন সাংবাদিককে নির্বাহী কর্মকর্তা প্রবেশের অনুমতি থাকায় বাকি সাংবাদিক ভরাক্রান্ত মনে ফিরে যান।