দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা শপথ নিলেও দায়িত্ব পায়নি

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার নির্বাচন শেষ হয়েছে গত ১৫ মার্চ থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে। এর মধ্যে শপথ নিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানরা। শপথের অপেক্ষায় প্রহর গুনছেন বাকি তিন উপজেলা জীবননগর, আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলার নির্বাচিতরা।

গত বৃহস্পতিবার খুলনা থেকে শপথ নিয়ে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, আব্দুল কাদের ও ছালমা জাহান পারুল এলাকায় ফিরলেও নির্বাচিতরা গতকাল রোববার পর্যন্ত দায়িত্ব বুঝে পাননি। দায়িত্ব পেতে অপেক্ষা করতে হবে আরো বেশ কিছু দিন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি চুয়াডাঙ্গা জেলার চার উপজেলায় তৃতীয় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে শপথ অনুষ্ঠিত হয় দামুড়হুদায় ২৩ ফেব্রুয়ারি, প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয় ২৫ মার্চ এবং মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ২০১৪ সালের ২৫ মার্চ। কিন্ত পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হলেও দায়িত্ব হস্তান্তর হয়নি। অতিরিক্ত আরও ২৬ দিন অতিক্রম হয়ে গেছে। শপথের পর একমাসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তরের কথা উপজেলা ম্যানুয়ালে থাকায় দামুড়হুদা উপজেলায় নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদেরকে অপেক্ষা করতে হবে আগামী বেশ কিছু দিন সময়।

একইভাবে আগামী ৬ মে জীবননগর উপজেলায়, আগামী ১০ মে আলমডাঙ্গা ও ১১ মে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে। এদিকে ২০১৪ সালের ১৫ মার্চ দামুড়হুদায়, ২৩ মার্চ জীবননগর ও ৩১ মার্চ আলমডাঙ্গা ও সদর উপজেলায় চতুর্থ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে গত সপ্তায় জীবননগর উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম গেজেটে প্রকাশিত হয়েছে। তবে তাদের শপথের দিনক্ষণ এখনো নির্ধারণ হয়নি। চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচনের গেজেট এখনো প্রকাশিত হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদুর রহমান জানান, উপজেলা ম্যানুয়াল অনুযায়ী শপথের ১ মাসের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তরের বিষয়টি বলা রয়েছে। তবে নিশ্চিত করে কোনো তারিখ এখনো নির্ধারণ হয়নি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মল্লিক সাঈদ মাহবুব জানান, শপথের পরই দায়িত্ব গ্রহণের কথা। তবে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।