দামুড়হুদায় নববর্ষকে সামনে রেখে মৃৎ শিল্পীরা মহাব্যস্ত

 

নতুন প্রজন্মের সামনে বাংলার পুরোনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে চলছে নিরন্তর প্রচেষ্টা

বখতিয়ার হোসেন বকুল/শরীফুল ইসলাম: দামুড়হুদায় বাংলা নববর্ষকে সামনে রেখে নুতন প্রজন্মের মাঝে বাংলার পুরোনো ঐতিহ্যকে তুলে ধরতে নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিষ্ণুপুরের মৃৎ শিল্পিরা। আধুনিক সভ্যতার যুগে নতুন প্রজন্মকে চেনাতে মাটি দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ছোট ছোট হাড়ি-পাতিল, যাতা, ছোবা, ছোট-বড় পুতুল, ব্যাংকসহ বিভিন্ন খেলনা সামগ্রী। সেই আদীকাল থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে আসলেও  আনুনিক সভ্যতা যুগে নুতন প্রজন্মের কাছে যেন অনেকটাই অপরিচিত হয়ে গেছে ওই সমস্ত মাটির তৈরি খেলনা সামগ্রী। বিলুপ্ত প্রায় মাটির তৈরি এ সমস্ত খেলনা সামগ্রী নানা রঙে রাঙিয়ে বোশেখি মেলায় তুলে ধরা হবে নতুন প্রজন্মের মাঝে। মৃৎশিল্পীদের পাশাপাশি কামার সম্প্রদায়ের লোকজনও বসে নেই। দিনরাত তৈরি করে চলেছেন আম কাটা ছোট ছোট চাকু, দা, বটিসহ নানা সামগ্রী। বর্তমান সময়ে ওই সমস্ত খেলনা সামগ্রীর কদর কমে যাওয়ায় বাংলার ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে অনেকটাই হিমশিম কেতে হচ্ছে মৃত শিল্পীদের। বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র বোশেখি মেলায়ই বিক্রি হয় ওই সমস্ত মাটির তৈরি খেলনা সামগ্রী। বছরের বাকিটা সময় আর বিক্রি হয়না ওই সমস্ত মাটির তৈরি খেলনা সামগ্রী। ফলে দিনদিন হারিয়ে যেতে বসেছে বাংলার আদি ঐতিহ্য। একটি সময় ছিলো যখন দামুড়হুদা উপজেলার অধিকাংশ গ্রামেই ছিলো কামার-কুমারদের বসবাস। বর্তমানে হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার বাপ দাদার এ আদি পেশাকে কোনো রকম টিকিয়ে রেখেছে। আগামী দিনে বাপ-দাদার এ আদি পেশাকে আর টিকিয়ে রাখতে পারবে কি-না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।