দামুড়হুদায় চালের ওপর থেকে পড়ে ওয়েল্ডিং শ্রমিক নিহত

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় টিনসেডের চালের ওপর থেকে মাটিতে পড়ে মিলন (৩৫) নামের এক ওয়েল্ডিং শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের সুমিরদিয়া কলোনির মোশারেফ হোসেন মোশার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে দামুড়হুদার মোক্তারপুর নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন রাশিক জিপি হ্যাচারির (রাফিদ পোল্ট্রি খামার নামে পরিচিতি) একটি নবনির্মিত ঘরের টিনসেডের চালে লোহার অ্যাঙ্গেল ফিটিং করার সময় অসাবধানবসত চালের ওপর থেকে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। খামারের শ্রমিকরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নিহত মিলনের লাশের জানাজার নামাজ শেষে সুমিরদিয়া কলোনি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ফার্মে কর্মরত শ্রমিক স্বপন, বিপ্লব ও আশরাফুল জানান, হেড মিস্ত্রি চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ পাড়ার (ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি) তৈয়ব আলীর সাথে মিলন বেশ কয়েক দিন ধরে ফার্মের মধ্যে নবনির্মিত একটি সেডের চাল নির্মাণের কাজ করে আসছিলেন। গতকাল সকালেও মিলন ওই সেডে লোহার অ্যাঙ্গেল সেট করছিলেন। বেলা ১১টার দিকে তিনি ওই চালের ওপর থেকে নিচে পড়ে যান। আমরা তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় করিমনযোগে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (চিৎলা হাসপাতালে) নিয়ে যায়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হেড মিস্ত্রি চুয়াডাঙ্গা কেদারগঞ্জ পাড়ার তৈয়ব আলী জানান, মিলন আমার আত্মীয় এবং আমার কাছেই থাকে। ঈদের কয়েক দিন আগে থেকে আমি ওর সাথে নিয়ে ওই ফার্মের একটি নতুন সেডের চাল নির্মাণ করার জন্য লোহার অ্যাঙ্গেল ফিটিং করছিলাম। আমি তাকে নিচে নেমে সুতো আনতে বলার পর ও নিচে নামতে গিয়ে হঠাৎ মাথা ঘুরে নিচে পড়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পড়ার সময় দেয়ালে তার মাথায় আঘাত লাগে এবং মাটিতে পড়ার সময় তার মাথা মাটির মধ্যে ঢুকে গিয়ে সে গুরুতর আহত হয়। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলেও শেষমেষ তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। দু ভাইয়ের মধ্যে বড় এক সন্তানের জনক মিলন ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত হলেও তার স্ত্রী বেশ কিছুদিন আগে তাকে ছেড়ে চলে গেছে। নিহত মিলন কোটচাঁদপুরের সন্তান। বছর পনের আগে তারা সপরিবারে চুয়াডাঙ্গা আসে এবং বুজরুকগড়গড়ি মাদরাসাপাড়ায় বসবাস শুরু করে। এরপর বছর দুয়েক আগে তারা সুমিরদিয়া কলোনিতে গিয়ে সপরিবারে বসবাস শুরু করে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাটি জানার পর আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। তবে এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ বা মামলা করেনি।