দামুড়হুদায় ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট স্থানীয় শহীদ দিবসে শহীদদের স্মরণসভায় হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার

 

 

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকে মুছে ফেলতে নতনভাবে ষড়যন্ত্র চলছে

বখতিয়ার হোসেন বকুল : দামুড়হুদায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৫ আগস্ট স্থানীয় শহীদ দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দামুড়হুদার নাটুদাহস্থ আটকবরে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ ও জেলা মুক্তিযুদ্ধা সংসদের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। কর্মসূচির শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ পতাকা উত্তোলন করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবু হোসেন এবং কালো পতাকা উত্তোলন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগার ফটিক। জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের জেলা সেক্রেটারি মুন্সী আব্দুল হান্নান, লাইলা শিরীনসহ অন্য শিল্পীবৃন্দ। পতাকা উত্তোলন শেষে হুইপ, জেলা প্রশাসন, পুলিশ সুপার, জেলা পরিষদ, জেলা আওয়ামী লীগ, জেলা মহিলা লীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা, জেলা ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ৮ শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। প্রথমেই পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার। এরপর পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক মো. দোলোয়ার হোসাইন ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, জেলা পরিষদের পক্ষে জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মল্লিক সাঈদ মাহবুব, জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে যুগ্মসম্পাদক আশাদুল হক বিশ্বাস, মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জোহা ও ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু, জেলা মহিলা আ.লীগের সভানেত্রী কোহিনুর বেগম, সাধারণ সম্পাদিকা মাহমুদা খাতুন পলি, নুরুন্নাহার কাকলি, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার আবু হোসেন, চুয়াডাঙ্গাপৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহসভাপতি রুবাইত বীন আজাদ সুস্তির, জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিউদ্দিন টিটু, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি স্বপন, সাধারণ সম্পাদক তারেক শহীদ বেদিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন জেলা আ.লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু। এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক জাতীয় সংসদের হুইপ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের সভাপতিত্বে শুরু হয় আলোচনা সভা। জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমগীর হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মোশারেফ হোসেন, পৌরমেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোসেন, সাবেক কমান্ডার নূরুল ইসলাম মালিক ও মুক্তিযোদ্ধা আলী আজগর ফটিক। উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি সিকদার মশিউর রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছির উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মতিয়ার রহমানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সভাপতির বক্তব্যে হুইপ ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, বিএনপি-জামায়াত মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি মুছে ফেলতে চায়। তাই তারা আবার নতুনভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশে একটি মুক্তযোদ্ধা বেঁচে থাকতে তাদের সে স্বপ্ন পূরণ হবেনা। বিএনপি কোনদিন কোন মুক্তিযোদ্ধার মঙ্গল চায়নি আর ভবিষ্যতেও চাবেনা। তাই আমি সকল মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের বলি আসুন আমরা এককাতারে এসে মুক্তিযুদ্ধের মহান নেতা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াই এবং তার হাতকে শক্তিশালী করি। আলোচনা শেষে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি হয়।