দামুড়হুদায় অপহৃত কলেজছাত্রীকে ঢাকা থেকে উদ্ধার

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদার কালিয়াবকরি গ্রামের নূর হকের অপহৃত মেয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বিএ ১ম বর্ষের ছাত্রী শাহানাজকে ঢাকা থেকে উদ্ধারসহ অপহরক একই গ্রামের মমিনের ছেলে সাইদুরকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কাইয়ুম আলী ঢাকা মীরপুর-২ এর রূপনগর এলাকার একটি বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন। তাদের উভয়কেই দামুড়হুদা থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের কালিয়াবকরি গ্রামের মমিনুল ইসলামের ছেলে এক সন্তানের জনক করিমনচালক সাইদুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী নূর হকের মেয়ে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বিএ ১ম বর্ষের ছাত্রী শাহানাজের (১৯) প্রায় মাস ছয়েক আগে প্রেম সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই এক পর্যায়ে সাইদুর তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অবৈধভাবে দৈহিক মেলামেশা করে আসছিলো। সাইদুর কৌশলে তাদের আপত্তিকর দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি জানাজানি হয়ে পড়লে শাহানাজ ও সাইদুর গত ১৪ এপ্রিল দর্শনার জনৈক কাজির কাছে ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে গোপনে বিয়ে করে এবং ২৬ এপ্রিল উভয়ই বাড়ি থেকে পালিয়ে ঢাকায় চলে যায়। ঘটনার একমাস পর গত ২৭ মে শাহানাজের ভাই শামিম বাদী হয়ে সাইদুর, সাইদুরের পিতা মমিন ও কালিয়াবকরি গ্রামের ইয়ামিন মেম্বারের ভাই ঢাকায় বসবাসরত ইউনুচকে আসামি করে দামুড়হুদা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কাইয়ুম আলী ঢাকা মীরপুর-২ এর রূপনগর এলাকার একটি বাসা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করেন। এ বিষয়ে শাহানাজ বলেন, আমাকে সাইদুর অপহরণ করেনি। আমি স্বেচ্ছায় তার সাথে বিয়ে করেছি। আমার ভাই আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা করেছে। নিরাপরাধ সাইদুরের পিতা ও ইউনুচকে মামলা থেকে বাঁচাতে আমরা ঢাকা থেকে বাসযোগে গতকাল দামুড়হুদা থানায় হাজির হয়েছি। এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরককে গ্রেফতার করে তাদের উভয়কেই দামুড়হুদা থানা হাজতে রাখা হয়েছে। আজ শুক্রবার তাদের আদালতে সোপর্দ করা হবে।