বখতিয়ার হোসেন বকুল: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ঈদের পরপরই তফশিল ঘোষণা করা হতে পারে এবং ভোট অনুষ্ঠিত হবে আগস্টের তৃতীয় সপ্তায়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে এ তথ্য দিয়ে তারা আরও বলেছেন ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ করা হতে পারে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় গত ১৫ মার্চ। ওই নির্বাচনে হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান জামায়াত সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হন। হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে শপথ গ্রহণের জন্য গত ১৬ এপ্রিল ১নং প্যানেল চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন এবং উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে গত ১৭ এপ্রিল খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের সম্মেলনকক্ষে শপথ গ্রহণ করেন। সে হিসেবে ৯০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ আগামী ১৭ জুলাইয়ের মধ্যে হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও রমজান মাসের কারণে কিছুটা পিছিয়ে তা অনুষ্ঠিত হবে আগস্টের তৃতীয় সপ্তায়।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন অফিসার আবু দাউদ জানান, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা ছিলো। সে মোতাবেক সব ধরনের প্রস্তুতিও ছিলো। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কাজের সুবিধার্থে তা কিছুটা পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। আগামী আগস্টের তৃতীয় সপ্তায় ভোটগ্রহণ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে জানা গেছে। সে অনুযায়ী ঈদের পর পরই নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হবে। এ নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান।
দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ফরিদুর রহমান জানান, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচন আগস্টের তৃতীয় সপ্তায় অনুষ্ঠিত হবে বলে আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এ সংক্রান্ত চিঠি এখনও হাতে পাইনি। চিঠি হাতে পাওয়ার পরপরই তফশিল ঘোষণা করা হবে।
এদিকে হাউলী ইউপি উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে অংশ নিতে ইচ্ছুক বেশ কয়েকজন সম্ভাব্য প্রার্থী শুরুতেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করলেও বর্তমানে নির্বাচনী মাঠে নেই তাদের আনাগোনা। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের বিষয়ে এলাকার বেশিরভাগ ভোটাররা জানান, আমরা টিভিতে ও পেপার পত্রিকায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দেয়ার কথা শুনে আসছি। এবার যদি এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হয় তাহলেতো ভালোই হবে। আমাদের একটা নুতন অভিজ্ঞতাও তৈরি হবে। তবে এ পদ্ধতি সম্পর্কে এলাকার সাধারণ ভোটারদের তেমন কোনো অভিজ্ঞতা নেই। তাই নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে ভোটারদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ দিতে হবে।