দামুড়হুদার ভুট্টোকে এলোপাথাড়ি কুপিয়েছে কয়েক যুবক

হামলার শিকার হয়ে ৫ মাস পর বাড়ি ফিরেছে বাধন : পূর্ব বিরোধের জের

স্টাফ রিপোর্টার: দামড়হুদা দশমীর মাসুদ রানা ভুট্টোকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ডের নিকটস্থ একটি চা দোকানের পাশে তাকে কুপিয়ে জখম করে হনুমান টুপিপরা কয়েক যুবক।
মাসাদু রানা ভুট্টো (৩৮) নিজেকে যুবলীগ নেতা বলে দাবি করে বলেছেন, দামুড়হুদারই খাপাড়ার আবু তালেবের ছেলে বাধন, তৈয়ব আলীর ছেলে শরিফুল, আরিফুল ও একই এলাকার শাহীন পূর্ব বিরোধের জের ধরে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে। মাসুদ রানাকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে নেয়া হয় যশোরের কুইন্স হাসপাতলে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমীর আফজাল খার ছেলে মাসুদ রানা ভুট্টো তার জুনিয়র দু’সহকর্মীকে সাথে নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের ফজুর চা দোকানের পাশে বসে ছিলো। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কয়েকজন যুবক ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। বাইসাইকেল চাপা দিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে হামলাকারীরা সরে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হয়। মাথায়, হাতে ও পায়েসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারারো অস্ত্রের কোপে ক্ষতবিক্ষত হয়েছেন ভুট্টো।
দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি বলেছেন, মাসুদ রানা ভুট্টোর বিরুদ্ধে যেমন একাধিক মামলা রয়েছে, তেমনই তার হামলার শিকার বাধনের বিরুদ্ধেও রয়েছে নানা অভিযোগ। উভয়ের মধ্যে পুরোনো বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। অপরদিকে স্থানীয়দের অনেকেই বলেছেন, মাসুদ রানা ভুট্টো স্থানীয় যুবলীগ নেতা ইউসুফ আলীর ভাগ্নে জামাই। তার অনুসারী হিসেবেই স্থানীয়দের মাঝে পরিচিত ভুট্টো নিজেকে যুবলীগ নেতা বলেই পরিচয় দেয়। অপরদিকে বাধন খাপাড়ার আবু তালেবের ছেলে। আনুমানিক ৫ মাস আগে ওই বাধন নৃশংস হামলার শিকার হয়। ওই ভুট্টোই তাকে মারে বলে অভিযোগ। বাধন চিকিৎসা নিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফেরেন। এরপরই ঘটলো ভুট্টোর ওপর হামলার ঘটনা।